সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে গেলেন ভারতের ভারত্তোলক খুমুকচাম সঞ্জিতা চানু (Sanjita Chanu)। কমনওয়েলথ গেমসে জোড়া সোনা জয়ী চানুকে দু’বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা নাডা। গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে জাতীয় গেমসের ৪৯ কেজি বিভাগে রুপো জিতেছিলেন চানু। সেই সময় নাডার পক্ষ থেকে তাঁর মূত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই টেস্টেই তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ চিহ্নিত হয়েছে। তাই চানুর খেলার উপর প্রাথমিকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নাডা। নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত এই নির্বাসন জারি থাকবে।
২০১৪ গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games) ৪৮ কেজি বিভাগে সোনা জিতেছিলেন চানু। তার চার বছর পর ২০১৮ গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথে ৫৩ কেজি বিভাগে সোনা জেতেন। মণিপুরের ভারত্তোলকের দেহে ড্রস্ট্যানোলন পাওয়া গিয়েছে। এখন চানুকে নাডার ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের সামনে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে। যদি প্রমাণ হয় তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে নিষিদ্ধ ড্রাগ নিয়েছেন তাহলে চার বছরের জন্য ক্রীড়া জগতের বাইরে থাকতে বাধ্য হবেন। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি জাতীয় গেমসে পাওয়া পদকও আর থাকবে না। তাও কেড়ে নেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: শোধরাননি শাকিব! ফের ব্যাট নিয়ে আম্পায়ারের দিকে তেড়ে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, দেখুন ভিডিও]
তবে চানু যে এই প্রথম এমন কেলেঙ্কারিতে জড়ালেন তা কিন্তু নয়। ২০১৭ সালে একবার তাঁর ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসে। ২০১৮ সালের জুন মাসে আন্তর্জাতিক ভারত্তোলন সংস্থা তাঁকে নির্বাসিত করে দেয়। পরে চানু দাবি করেছিলেন তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। সেবার এক বছর পর অর্থাৎ ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ভারত্তোলন সংস্থা তাঁর নির্বাসন পর্ব তুলে নিয়েছিল। তাই চানুকে কিছুদিন আগেও আক্ষেপের সুরে বলতে শোনা যায়, টাইপিংয়ের ভুলেই নাকি তাঁর এমন দশা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক ভারতীয় খেলোয়াড় ডোপ পরীক্ষায় পজিটিভ হয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার, ডিসকাস থ্রোয়ার কমলপ্রীত কউর। তাঁরা সকলেই বিশ্ব ডোপিং সংস্থার নিয়মভঙ্গ করেছেন বলে শাস্তির মুখে পড়েছেন। সাসপেন্ড হয়েছেন দুই তারকাই। নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে পারলে তবেই আবার দেশের হয়ে প্রতিযোগিতায় নামতে পারবেন তাঁরা।