সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জামশেদপুরকে হারিয়ে আইএসএলের (ISL 2020) পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। শুক্রবার ফিরতি কলকাতা ডার্বিতে (Derby) খেলতে নামছে অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাসের দল। মঙ্গলবার থেকে ঐতিহ্যের ডার্বির চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। বাংলা ভাগ হয়ে যাওয়া এই ম্যাচ জেতার জন্য মরিয়া রয় কৃষ্ণরা। সেই ম্যাচের বল গড়ানোর আগে একেবারেই টেনশনে নেই এটিকে মোহনবাগান শিবির। সে কথাই জানালেন সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের তিন নিয়মিত ফুটবলার-অরিন্দম ভট্টাচার্য (Arindam Bhattacharya), প্রীতম কোটাল (Pritam Kotal) এবং শুভাশিস বসু (Subhasish Bose)।
এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) বিরুদ্ধে নামার আগে এটিকে মোহনবাগানের গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য বলছেন, “লিগ টেবিলের যা পরিস্থিতি তাতে শীর্ষে থেকে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে হলে এই ম্যাচটা আমাদের জিততেই হবে। ডার্বি বলে এই ম্যাচকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে আমরা রাজি নই। যুবভারতীতে এই ম্যাচ হলে অন্যরকম পরিস্থিতি তৈরি হত। এখানে তো মাঠে সমর্থকরাই থাকছেন না। ফলে অন্য ম্যাচের মানসিকতা নিয়েই এই ম্যাচ খেলতে নামব আমরা।”
[আরও পড়ুন: দর্শকশূন্য মাঠেই আয়োজিত হবে আইএসএল ফাইনাল, চূড়ান্ত হল দিনক্ষণ]
অরিন্দম মনে করেন চাপ নিয়েই খেলতে নামবে এসসি ইস্টবেঙ্গল। কারণ হিসেবে এটিকে মোহনবাগানের বিশ্বস্ত গোলকিপার বলছেন, “ওদের আর প্লে অফে যাওয়ার সুযোগ নেই। ডার্বিতে ভাল কিছু করতে না পারলে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না ওদের জন্য। সেই কারণেই এসসি ইস্টবেঙ্গল মরিয়া হয়ে খেলবে। তবে আমরাও তৈরি।”
প্রথম সাক্ষাতে জিতেছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু তার পরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। দুই দলেই একাধিক পরিবর্তন হয়েছে। অরিন্দম বলছেন, “প্রথম পর্বের চেয়ে আমরা এখন আরও সংগঠিত। মার্সেলিনহো এবং লেনি দলে যোগ দেওয়ায় আমাদের দল এখন অনেক শক্তিশালী। আমি নিশ্চিত যে গোল অক্ষত রাখার ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ম্যাচ জিতেই ড্রেসিং রুমে ফিরতে পারব।” অরিন্দমের সুরেই সুর মিলিয়েছেন প্রীতম কোটালও। প্রথম পর্বের মতো সহজে ফিরতি পর্বে ম্যাচ জেতা যাবে না। দুটো দলেই একাধিক পরিবর্তন হয়েছে। আর পরিবর্তনের ফলে আগের থেকেও অনেক সংগঠিত হয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। ব্রাইট নেমেই ছাপ ফেলেছেন। মার্সেলিনহো এটিকে মোহনবাগানে আসায় দলের ভারসাম্য বেড়েছে। দলের ত্রাতা হয়ে ধরা দিচ্ছেন রয় কৃষ্ণ। জামেশদপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচের মোক্ষম সময়ে জ্বলে উঠেছিলেন ফিজিয়ান তারকা। প্রীতম বলছেন, “ওদের গোল করার জন্য ব্রাইট আছে, আমাদেরও রয় কৃষ্ণ আছে। রয়কে দেখে মনে হচ্ছে আগেরবারের থেকেও বেশি ঝকঝকে।”
সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার দৌড়ে সবার আগে এটিকে মোহনবাগানের তারকা স্ট্রাইকার। আর এই পরিসংখ্যান যে কোনও দলকেই চাপে ফেলবে। এটিকে মোহনবাগানের ডিফেন্ডার শুভাশিস বসু বলছেন, “টুর্নামেন্টে আমরাই সব থেকে বেশিবার গোল অক্ষত রেখে ড্রেসিং রুমে ফিরেছি। আমাদের রক্ষণ থেকে আক্রমণের যা শক্তি, তাতে নিজেদের খেলাটা খেলতে পারলে ডার্বি জিততে সমস্যা হবে না।”
[আরও পড়ুন: চিপকের স্পিনে ধরাশায়ী ইংল্যান্ড, দ্বিতীয় টেস্টে বিরাট জয় ভারতের]
আইএসএলে ডার্বি নতুন হলেও এই মহাম্যাচের গুরুত্ব ভালই জানেন তিন বঙ্গসন্তান। তাই শুক্রবারের মহাম্যাচের আগে সেভাবেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামবেন অরিন্দম-প্রীতমরা।