সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টোকিও অলিম্পিকে ইতিহাস। ৬৯ কেজি ওয়াল্টার ওয়েট বিভাগে চাইনিজ তাইপে অর্থাৎ তাইওয়ানের চেন নিয়েন চিনকে হারিয়ে বক্সিংয়ের সেমিফাইনালে উঠে গেলেন ভারতের লভলিনা বরগোঁহাই (Lovlina Borgohain )। সেই সঙ্গে অন্তত ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত করে ফেললেন তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালে লভলিনা জিতলেন ৪-১ পয়েন্টের ব্যবধানে।
গতকালই মেরি কমের (Mary Kom) হতাশাজনক ফলাফলে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ভারতের। রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জন্য কোয়ার্টার ফাইনালে হতাশাজনক হারের মুখ দেখতে হয়েছিল কিংবদন্তিকে। তবে, মেরি কমের সেই হতাশা দূর করলেন উত্তর পূর্ব ভারতেরই আরেক কন্যা। প্রথম অসমিয়া বক্সার হিসাবে অলিম্পিক পদক নিশ্চিত করে ইতিহাস গড়লেন লভলিনা বরগোঁহাই। কোয়ার্টার ফাইলানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী চাইনিজ তাইপের চেন নিয়েন চিন ধারেভারে তাঁর থেকে এগিয়েই শুরু করেছিলেন। কিন্তু ম্যাচ শুরুর পরই বদলে যায় ছবি। পদক জয়ের আশায় এদিন যেন অপরাজেয় মানসিকতা নিয়ে নেমেছিলেন ভারতের সোনার মেয়ে। কোয়ার্টার ফাইনালের একেবারে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলতে দেখা যায় লভলিনাকে। প্রথম রাউন্ডে তিনি জেতেন ৩-২ এর স্লিট পয়েন্টে। দ্বিতীয় রাউন্ডে রক্ষণ এবং আক্রমণের অনবদ্য মিশেল দেখান লভলিনা। এই রাউন্ডে তিনি জেতেন সর্বসম্মতিক্রমে। ফলে শেষ রাউন্ডে শুধু নক-আউট না হলেই পদকজয় নিশ্চিত ছিল লভলিনার। তাই শেষ রাউন্ডে খানিকটা রক্ষণাত্মক খেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বিচারকরা ৪-১ পয়েন্টের ব্যবধানে লভলিনাকেই জয়ী ঘোষণা করে দেন। সেই সঙ্গে ইতিহাসের খাতায় নাম তুলে দেন অসমের এই বক্সার। সেমিফাইনালে ওঠার ফলে অন্তত ব্রোঞ্জ পদক নিশ্চিত করে ফেলেছেন লভলিনা। সেমিফাইনালে তুরস্কের বক্সারকে হারাতে পারলে রুপোজয়ও নিশ্চিত করতে ফেলতে পারবেন তিনি।ইতিমধ্যেই লভলিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
[আরও পড়ুন: ‘ম্যাচ শুরুর এক মিনিট আগে বদলাতে হয়েছে পোশাক’, Olympics-এ হেরে বিস্ফোরক Mary Kom]
এদিকে, লভলিনার পাশপাশি এদিন ভারতের জন্য সুখবর এসেছে তিরন্দাজি থেকেও। কঠিন লড়াইয়ের পর রাশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিকে হারিয়ে তিরন্দাজির ব্যক্তিগত ইভেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গিয়েছেন দীপিকা কুমারীও। তবে, দীপিকা আশা জাগালেও হতাশ করেছেন শুটার মনু ভাকের। ২৫ মিটার এয়ার পিস্তলে ফাইনালের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি তিনি। এদিকে ১০০ মিটার স্প্রিন্টিংয়ে ফাইনালে উঠতে পারেননি ভারতের দ্যুতি চাঁদও।