বাংলা: ২২৫ (শাহবাজ ১০০, যুজবেন্দ্র চাহাল ৪/৩৭, সুমিত কুমার ২/২৭, রাহুল তেওটিয়া ২/৩২)
হরিয়ানা: ২২৬/৬ (অঙ্কিত কুমার ১০২, অশোক মানেরিয়া ৩৯, রাহুল তেওয়াটিয়া ২১*, প্রদীপ্ত ২/২৯, কাইফ ২/৪৩)
হরিয়ানা ৪ উইকেটে জয়ী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের একবার হতাশা নিয়ে ফিরে আসছে বাংলা (Bengal)। চলতি মরশুমে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির (Syed Mustaq Ali Trophy) পর এবার বিজয় হাজারে ট্রফিতেও (Vijay Hazare Trophy) ব্যর্থ বঙ্গব্রিগেড। প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে গুজরাটকে (Gujarat) হারালেও, হরিয়ানার (Haryana) সামনে আর এঁটে উঠতে পারল না সুদীপ ঘরামির (Sudip Gharami) দল। প্রথমে বল হাতে ম্যাজিক দেখালেন যুজবেন্দ্র চাহাল (Yuzvendra Chahal)। এবং পরে রান তাড়া করতে নেমে অঙ্কিত কুমারের (Ankit Kumar) ১০২ এবং রাহুল তেওয়াটিয়ার (Rahul Tewatia) অপরাজিত ২১ রানের সৌজন্যে বাংলাকে চার উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে চলে গেল হরিয়ানা। ফলে জলে গেল শাহবাজ আহমেদের ( Shahbaz Ahmed) লড়াকু শতরান।
বড় মঞ্চে বাংলার ব্যাটাররা ব্যর্থ হন। অতীতের এই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি এবারও ঘটল। নকআউট ম্যাচে চাপের মুখে ফের একবার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল বঙ্গ ব্যাটিং। মাত্র ২২৫ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর, অঙ্কিত ১০২ রানের ইনিংস খেলেন। ব্যাটারদের পর বোলাররাও বিপক্ষের উপর চাপ ধরে রাখতে পারলেন না। ফলে খালি হাতে প্রতিযোগিতা থেকে ফিরে আসছে বাংলা। কারণ শাহবাজের শতরান ছাড়া কেউই বলার মতো রান পেলেন না রাজকোটের ব্যাটিং সহায়ক বাইশ গজে। বলা যায়, ১০০ রানে ইনিংসের জন্যই সম্মানজনক রান স্কোরবোর্ডে তুলেছিল বঙ্গব্রিগেড।
কোয়ার্টার ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেই ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলার। ৯৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলার ইনিংসকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিল শাহবাজের শতরান। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে তিনি রুখে দাঁড়াতে না পারলে বাংলার ইনিংস অনেক আগেই গুটিয়ে যেত। বিপক্ষে চাহাল, হর্ষল প্যাটেলের মতো বোলার থাকলেও, চাপের মুখে চুপসে না গিয়ে লিস্ট এ ক্রিকেটে সেরে ফেললেন তৃতীয় শতরান। ১১৮ বলে তাঁর ১০০ রানের ইনিংসে রয়েছে ৪টি করে চার এবং ছক্কা।
[আরও পড়ুন: কেন পিঙ্ক বল টেস্টের প্রতি আগ্রহ কমছে? জেনে নিন আসল কারণ]
শাহবাজের পর বাংলার হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার অভিষেক পোড়েল। ২৪ রান করলেন তিনি। অধিনায়ক সুদীপ ফিরলেন ২১ রানে। এ ছাড়া শেষ দিকে প্রদীপ্ত প্রামাণিক করেছেন ১৯ বলে ২১ রান। ১টি করে চার এবং ছক্কা মেরেছেন প্রদীপ্ত। বড় ইনিংস গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় একটিও জুটি তৈরি করতে পারেননি বাংলার ব্যাটারেরা। কারণ বড় ম্যাচে যে ব্যর্থ হলেন জোড়া শতরানকারী অনুষ্টুপ মজুমদার। ভারতীয় দলে ব্রাত্য যুজবেন্দ্র চাহাল নিলেন ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। ২৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন সুমিত কুমার। ৩২ রান ২ উইকেট রাহুল তেওটিয়ার।
এদিকে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই বিপক্ষের ওপেনার যুবরাজ সিংকে আউট করেন মহম্মদ শামির ভাই মহম্মদ কাইফ। এর পর হিমাংশু রানাকে ফিরিয়ে দেন ঈশান পোড়েল। মাত্র ১৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে তখন ব্যাপক চাপে হরিয়ানা। ঠিক এমন সময় তৃতীয় উইকেটে ১২৬ রান যোগ করেন অঙ্কিত ও অধিনায়ক অশোক মানেরিয়া। যদিও মানেরিয়া ৩৯ রানে ফিরে যান। ১৪০ রানে ৩ উইকেটে হারায় হরিয়ানা।
এর পর ১০২ বলে ১০২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান অঙ্কিত। তাঁকে আউট করে বাংলাকে ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন শাহবাজ। কিছুক্ষণ পর প্রদীপ্ত ফের বিপক্ষকে ধাক্কা দেন। ফলে ১৭৯ রানে ৫ উইকেট হারায় হরিয়ানা। নিশান্ত সিন্ধুকেও আউট করেন কাইফ। যদিও সুমিত কুমারকে সঙ্গে নিয়ে রাহুল তেওয়াটিয়া বাংলাকে বিজয় হাজারে থেকে ছিটকে দিল। গুজরাট টাইটান্সের তারকা ২১ রানে অপরাজিত থাকেন।