সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক ও রাজনৈতিক অশান্তিতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka)। দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে সেদেশের তারকারাও। তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রাক্তন ক্রিকেটার সনথ জয়সূর্য। তিনি বলেছেন, আমরা চেয়েছিলাম রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa) পদত্যাগ করুন। দেশ ছেড়ে পালাতে বলিনি। সেই সঙ্গে এক সময়ের বিধ্বংসী ওপেনার বলেছেন, জনতার বিক্ষোভের জন্য সমানভাবে দায়ী রনিল বিক্রমসিংঘে এবং গোতাবায়া রাজাপক্ষে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয়সূর্য (Sanath Jayasuriya) জানিয়েছেন, “ওরা (রাজাপক্ষে পরিবার) বলেছিল পদত্যাগ করবে। কিন্তু কথা রাখেনি। ফলে দেশের নেতাদের উপর থেকে ভরসা হারিয়ে ফেলেছিল সাধারণ মানুষ।” তিনি জানিয়েছেন, দুই নেতা পদত্যাগ করলেই মানুষের বিক্ষোভ একদম থেমে যাবে। প্রসঙ্গত, আর্থিক সংকট শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজাপক্ষে পরিবার-সহ দেশের শাসকদের পদত্যাগ চেয়েছিল আমজনতা। কিন্তু তা হয়নি। উলটে প্রতিদিন সংকট বাড়তে থাকে দ্বীপরাষ্ট্রে।
[আরও পড়ুন: সাফল্যের পুরস্কার, ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে বুমরাহ, টি-টোয়েন্টিতে ৪৪ ধাপ এগোলেন সুর্যকুমার]
এহেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। সেই প্রসঙ্গে জয়সূর্য বলেছেন, “প্রথম দিন থেকেই রাজাপক্ষের ইস্তফা দাবি করেছে লঙ্কাবাসী। কিন্তু রাজাপক্ষে পালিয়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘেকে (Ranil Wickremesinghe) দায়িত্বে রেখে গেলেন। সেই জন্যই মানুষ আর তাঁদের বিশ্বাস করবে না।” জয়সূর্য আরও বলেছেন, “রাজাপক্ষে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান, এটা কেউই চায়নি। তিনি ইস্তফা দিলেই মানুষ খুশি হত। কিন্তু তা না করে নিজের ইচ্ছাতেই দেশ ছেড়েছেন রাজাপক্ষে।”
দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ করছেন লঙ্কাবাসী। জয়সূর্য বলছেন, “প্রতিবাদ করতে করতে আমরাও ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। এবার থামতে চাই। শান্তিপূর্ণ জীবনে ফিরতে চায় দেশের মানুষ।” কিন্তু নেতারা পালিয়ে যাওয়ার ফলে দেশে রাজনৈতিক সংকট কি আরও বেড়ে যেতে পারে? উত্তরে জয়সূর্য বলেছেন, ”আশা করছি, আমাদের স্পিকার সব দলের নেতাকে নিয়ে সংসদ চালাবেন। আমাদের নেতৃত্ব যথেষ্ট অভিজ্ঞ, তাঁরা এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে পারবেন।” প্রতিবেশী দেশ ভারতকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক। তিনি বলেছেন, “ভারত থেকে প্রচুর সাহায্য পেয়েছি আমরা। কিন্তু কতদিন অন্যের উপরে নির্ভর করে থাকব! এবার নিজেদের সমস্যা মেটাতে আমাদেরই সক্রিয় হতে হবে। তবে সমগ্র লঙ্কাবাসীর তরফ থেকে ভারতকে ধন্যবাদ জানাই।”