সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার রাতে কলম্বোর অদূরে মাহারা সংশোধনাগারে বন্দি ও নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষের জেরে ৯ জনের মৃত্যু হয়। জখম হন আরও ১১৩ জন। সোমবার এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই গোটা বিশ্বের কাছে অস্বস্তি পড়তে হয়েছিল রাজাপক্ষে প্রশাসনকে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা শুরু করেন মন্ত্রিসভার সদস্য। তাতেই কয়েকশো বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার ও কয়েক হাজারকে জামিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
মঙ্গলবার সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে ৬৩৭ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। আরও অনেক জঙ্গিকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হবেও বলেও জানান। পরে এপ্রসঙ্গে শ্রীলঙ্কার আইন মন্ত্রী আলি সুবারি জানান, কারাগারগুলির চাপ কমাতে ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার বন্দিকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই বিষয়ে কাজও শুরু হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: ভারতকে চাপে রাখার চেষ্টা! নেপালের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবরকম সাহায্যের আশ্বাস চিনের]
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন জেলগুলিতে যত বন্দি থাকার কথা তার বেশি রয়েছে। এর ফলে পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে মোট ১২০০ জন বন্দির শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। মৃত্যুও হয়েছে কয়েকজনের। ফলে বিভিন্ন জেলে থাকা বন্দিদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। সেই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার। পাশাপাশি কাজে উদাসীনতার দায়ে জেল সংস্কার মন্ত্রী সুদর্শনী ফার্নান্দোপুল করোনা সংক্রান্ত একটি দপ্তরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
কিছুদিন ধরেই কলম্বো থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের মাহারা জেলে বন্দিদের ভিড় বাড়ছিল। ১০ হাজার বন্দির জন্য ব্যবস্থা রয়েছে এই জেলে, অথচ এই মুহূর্তে সেই সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭৫ জন বন্দি কোভিড আক্রান্ত। এদিকে, শ্রীলঙ্কায় করোনা সংক্রমণও উত্তোরত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বন্দিরা দাবি তুলছিল, তাদের নিরাপত্তা নেই। যে কোনও সময়ে তারাও সংক্রমিত হতে পারে। এই অবস্থায় রবিবার তা চরমে পৌঁছয়।