shono
Advertisement

Breaking News

পাপোশ হয়ে আমাজনে বিকোচ্ছে শ্রীলঙ্কার জাতীয় পতাকা! চিনা সংস্থার কীর্তিতে ক্ষুব্ধ কলম্বো

ইতিমধ্যেই চিনা দূতাবাসের কাছে নালিশ জানানো হয়েছে।
Posted: 04:32 PM Mar 13, 2021Updated: 04:37 PM Mar 13, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনলাইনে কী না মেলে! তার উপর আমাজনের (Amazon) মতো জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট। অন্য সামগ্রীর সঙ্গে সেখানে রয়েছে হরেক রকম পাপোশের (Doormat) পসরাও। আর সেই ভিড়েই কিনা উপস্থিত চিনা (China) সংস্থা নির্মিত শ্রীলঙ্কার পতাকা আঁকা পাপোশও! যা দেখে হতবাক নেটিজেনরা। কী করে কোনও দেশের পতাকা আঁকা পাপোশ তৈরি করতে পারে কোনও সংস্থা? আর সেটা বিক্রিও করা হতে পারে অনলাইনে? স্বাভাবিক ভাবেই এই বিষয়ে প্রবল অসন্তুষ্ট শ্রীলঙ্কা সরকারও।

Advertisement

আমাজনে ১২ ডলার দাম রাখা হয়েছে ওই পাপোশের। সেই সঙ্গে শিপিং খরচ হিসেবে অতিরিক্ত ৯.২০ ডলার চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের চিনা দূতাবাসের নজরে আনা হয়েছে বিষয়টি। পাশাপাশি, চিনে অবস্থিত শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka) দূতাবাসকেও তা জানানো হয়েছে। পাপোশটি তৈরি করেছে ‘শেংগং’ নামের এক সংস্থা। ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি তাদের জানানোর নির্দেশ দিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার।

[আরও পড়ুন: এবার শ্রীলঙ্কায় তৈরি হল বিজেপি! তামিল ব্যবসায়ীর হাত ধরে দ্বীপরাষ্ট্রে গঠিত সংগঠন]

শ্রীলঙ্কার বিদেশ সচিব অ্যাডমিরাল জয়ন্ত কলম্বেজ বেজিংয়ে অবস্থিত শ্রীলঙ্কা দূতাবাসকে বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি ওয়াশিংটনের শ্রীলঙ্কা দূতাবাসের কাছেও তা তুলে ধরেছেন। ইতিমধ্যেই ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ করতে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে বেজিং। শ্রীলঙ্কায় অবস্থিত চিনা দূতাবাসের তরফে জানানো হয়েছে, শ্রীলঙ্কার জাতীয় পতাকার এমন অনুপযুক্ত বিজ্ঞাপন দেখে তারাও উদ্বিগ্ন। তাদের বিবৃতিতে আমাজনকে অভিযুক্ত করা হলেও চিনের সংস্থাটির কোনও উল্লেখ করা হয়নি। বরং বিভিন্ন দেশের নানা সংস্থা যেভাবে কোনও কোনও দেশের পতাকা দিয়ে এই ধরনের পণ্য বাজারে নিয়ে আসছে সেকথা জানিয়ে ক্ষোভ জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। অর্থাৎ কূটনৈতিক চাল চেলে বিষয়টিকে কেবল চিনের সংস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে অন্যদিকে স্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, যে কোনও দেশের জাতীয় পতাকাকেই পূর্ণ সম্মান দেখানো উচিত।

[আরও পড়ুন: ‘অন্ধকারে আলো খুঁজে নেয় আমেরিকা’, করোনা মহামারীর বর্ষপূর্তিতে আশার বার্তা বাইডেনের]

দূতাবাসের তরফে আরও জানানো হয়েছে, বেজিং বরাবরই শ্রীলঙ্কার প্রতি সম্মান পোষণ করে এসেছে। প্রসঙ্গত, চিনের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার কূটনৈতিক সম্পর্ক বন্ধুর মতোই। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের ধারণা, হামবানটোটার মতো বন্দর ‘লিজ’ নিয়ে কার্যত তাদের উপরে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করেছে বেজিং।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement