সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বেহাল আর্থিক অবস্থা এবং চরম মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রায় দু’ সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত বিক্ষোভ চলছে শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka)। প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে অনড় প্রতিবাদীরা। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে (Mahinda Rajapaksha) বুধবার জানিয়েছেন, দেশের সমস্যা সমাধানে তিনি প্রতিবাদীদের (Meet to Protesters) সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন। ইতিমধ্যে বুধবার ভারতে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাই কমিশনার মিলিন্দা মোরাগোড়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitaraman)। শ্রীলঙ্কায় ভারতের আর্থিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’জনের মধ্যে।
গত পাঁচ দিন ধরে শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের অফিসের সামনে ধরনায় বসেছেন। তাঁদের দাবি, দেশের এহেন বিপর্যয়ের জন্য দায়ী প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট। তাঁদের অপশাসনের কারণে এই অবস্থা, তাই অবিলম্বে তাঁদের গোটা পরিবার পদত্যাগ করুক। এহেন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানান হয়, “প্রধানমন্ত্রী বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছুক। দেশের আর্থিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক সমস্যা মেটানোর জন্য বিক্ষোভকারীদের মতামত নিতে চান তিনি।”
[আরও পড়ুন: ‘বাংলা গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার’, বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক রাজ্যপাল, পালটা স্পিকারের]
যদিও প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব উড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। নুয়ান কালুয়ারচি নামে এক শিক্ষক জানিয়েছেন, “একজন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতা হিসাবে এই পরিস্থিতিতে ওঁর উচিত ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাওয়া। দেশের অধিকাংশ মানুষ ওঁকে প্রত্যাখ্যান করেছেন, এমতাবস্থায় সপরিবারে বাড়ি চলে যাওয়া উচিত ওঁর।” রসিকা নামে আরেকজন বিক্ষোভকারী বলেছেন, “মানুষ চায় রাজাপক্ষে পরিবার চলে যাক। আমাদের প্রাপ্য অর্থ ফেরত দিয়ে ওঁকে জেলে পাঠান হোক।
প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কার এহেন দুর্দিনে পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কাকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ভারত। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য এবং ওষুধ ইত্যাদি কেনার জন্য এই ঋণ দেওয়া হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ডের ঋণ মকুবের বিষয়ে কথা বলেছে শ্রীলঙ্কা। সেই প্রসঙ্গেই নির্মলা সীতারমণ বৈঠক করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধির সঙ্গে। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আরও দুই হাজার কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দিতে ইচ্ছুক ভারত। শ্রীলঙ্কার বন্ধু হিসাবে চিনকে সরিয়ে ভারত নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।