সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র বছরখানেক আগের কথা! আচমকাই গোটা বিশ্বের উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছিল শ্রীলঙ্কা (Srilanka) । গণ অসন্তোষের বিস্ফোরণের কবলে বিপর্যস্ত হয়েছিল কলম্বো। মুহূর্তেই ভস্মীভূত হয় দ্বীপরাষ্ট্রের রাষ্ট্রনেতাদের বাড়িও। তবে এখন খানিকটা শান্ত মুক্তোর দেশ! শুরু হয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া। এই আবহেই ভারত সফরে আসছেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রণিল বিক্রমাসিংহে (Ranil Wickremesinghe)। আগামী মাসেই আসার কথা তাঁর। এই সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মুর (Draupadi Murmu) সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে বিক্রমাসিংহের।
আগামী ২১ জুলাই ভারতে আসছেন প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। জানা যাচ্ছে, এই সফরে ভারতের সঙ্গে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। শুধু তাই নয়, দুই দেশের মধ্যে হওয়া আর্থিক লেনদেনের বিষয়েও কথা এগোতে পারে বলেই খবর।
[আরও পড়ুন: অবৈধ দরগা ভাঙার নোটিসকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত জুনাগড়, সংঘর্ষে মৃত ১]
প্রসঙ্গত, গত বছর শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে এবং প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে চরমে ওঠে ক্ষোভ। বাড়িছাড়া হন দু’জনেই। এরপর দেশের হাল ধরেন রণিল। ২০১৮-র পর ফের বিক্রমাসিংহের সঙ্গে দেখা করবেন মোদি। ২০২২-এ প্রবল আর্থিক সঙ্কটেও পড়ে শ্রীলঙ্কা। ঠিক সেই মুহূর্তেই ‘বন্ধু দেশে’র পাশে দাঁড়ায় মোদির ভারত। প্রায় ৩.৫ বলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থসাহায্যও করে নয়াদিল্লি। শুধু ভারত নয়, বিশ্বব্যাংকের থেকেও ঋণ নেয় রণিলের দেশ।
[আরও পড়ুন: ‘এর চেয়ে কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে মরা ভাল’, কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে বিস্ফোরক নীতীন গড়কড়ি]
এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কার ঋণের পরিমাণ ব্যাপক। দেশের জিডিপির তুলনায় ব্যয়ের হার অনেক বেশি! ২০১৭-২০১৮ অর্থবর্ষের তুলনায়, ২০২২-এ শ্রীলঙ্কার ঋণের বোঝা বেড়েছে বহুগুণ। মাহিন্দা রাজাপক্ষের আমলে তলানিতে থাকা অর্থনীতিতে ঋণের বোঝা ছিল ৬৪ শতাংশের বেশি। তাই-ই বেড়ে হয়েছে ৮৪ শতাংশ।