সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানি সীমা এবং ভারতীয় শচীনের প্রেম কাহিনি নিয়ে চর্চার শেষ নেই। আর তারই মধ্যে শিরোনামে উঠে আসছে দুই দেশের একাধিক ভালবাসার গল্প। সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও এক কাহিনি। এবার অন্ধ্রপ্রদেশের প্রেমিকের টানে সুদূর শ্রীলঙ্কা থেকে ছুটে এলেন যুবতী। বসলেন বিয়ের পিঁড়িতেও। কিন্তু তারপরই কাহানি মে টুইস্ট। যুবতীকে শ্রীলঙ্কায় ফিরে যেতে বলেছে অন্ধ্র পুলিশ।
অন্ধ্রর লক্ষ্মণের সঙ্গে বছর ছয়েক আগে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল শ্রীলঙ্কার শিবকুমারী বিঘ্নেশ্বরীর। চ্যাটিংয়েই ধীরে ধীরে সম্পর্ক গভীর হয়। একে অন্যের প্রেমে পড়েন শিবকুমারী ও লক্ষ্মণ। আর সেই ভালবাসার টান এতটাই গভীর ছিল যে গত ৮ জুলাই নিজের দেশ ছেড়ে সোজা অন্ধ্র পৌঁছে যান বছর পঁচিশের যুবতী। টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে এসেছিলেন তিনি। এরপর গত ২০ জুলাই চারহাত এক হয় দু’জনের। কিন্তু এবার শিবকুমারী পড়েছেন সমস্যায়। কারণ ১৫ আগস্ট তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। তাই তার আগে তাঁকে দেশে ফিরে যেতে হবে। আর না হলে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ, লেখানো হয় মুচলেকা! ঘরে ফিরে বিস্ফোরক ‘অপহৃত’ বিরোধী প্রার্থীরা]
সোশ্যাল মিডিয়ায় শনিবারই ভাইরাল হয় শিবকুমারী ও লক্ষ্মণের বিয়ের ভিডিও। তা দেখেই শ্রীলঙ্কা থেকে আসা যুবতীর ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে শুরু করে পুলিশ। তারা জানতে পারে, আপাতত টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে রয়েছেন শিবকুমারী। যা ১৫ আগস্ট শেষ হয়ে যাবে। তাই তাঁকে এর মধ্যেই শ্রীলঙ্কা ফিরে যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু শিবকুমারী ভারতীয় নাগরিকত্বের দাবি করেছেন। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে এদেশেই থাকতে আগ্রহী তিনি।
চিত্তোর জেলার এসপি রিষরান্ত রেড্ডি জানাচ্ছেন, শনিবার এক বছরের ভিসার জন্য আবেদন করেছেন শিবকুমারী। পাশাপাশি যেহেতু তিনি ভারতীয়কে বিয়ে করেছেন, সেই প্রেক্ষিতে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্যও আবেদন জানিয়েছেন। এবার দেখার এই প্রেমকাহিনির হ্যাপি এন্ডিং হয় কি না।