সুপর্ণা মজুমদার: আবারও ফেলুদার (Feluda) ভূমিকায় টোটা রায়চৌধুরী। এবার ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি’তে (Feludar Goyendagiri) জমজমাট দার্জিলিং। সবই হচ্ছে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherji) নির্দেশে। তিনিই ফেলুদা হয়ে ওঠার বিশেষ টোটকা দিয়েছিলেন টোটাকে (Tota Roychoudhury)। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চোখের ভাষা, আর সব্যসাচীর বাচনভঙ্গী লক্ষ্য করার কথা বলেছিলেন সৃজিত। তা দেখেছেন টোটা, তবে হুবহু নকল তিনি একেবারেই করেননি। অভিনেতা মনে করেন কপি করার মতো প্রতিভা তাঁর নেই। বরং নিজের মতো করে ফেলুদার ভূমিকায় অভিনয় করার চেষ্টা করেছেন।
এতে অবশ্য বেশ খুশিই হয়েছেন পরিচালক সৃজিত। তাঁর মতে, টোটার জন্ম ফেলুদা লগ্নেই। কঠিন পরিশ্রম করেছেন অভিনেতা। সিরিজে এমন কিছু অ্যাকশন দৃশ্য রয়েছে যা টোটার মতো ফিট অভিনেতা ছাড়া সম্ভবই ছিল না। শুরু থেকেই টোটাকে পছন্দ ছিল সৃজিতের। ২০০৭ সাল থেকে তাঁকে ফেলুদা হিসেবে ভেবে রেখেছিলেন। সেই ভাবনা আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। আগামী জুনে হইচই প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি’।
[আরও পড়ুন: ‘মিষ্টি দই ছিল বড় প্রিয়’, জন্মদিন কীভাবে পালন করতেন সত্যজিৎ? জানালেন সন্দীপ রায়]
টোটা আবার মনে করেন সৃজিত পরিচালক হিসেবে ভীষণ খুঁতখুঁতে। আবার ফেলুদা নিয়ে খুব বেশি আবেগপ্রবণ। সেটে ফেলুদা সমগ্র নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন সৃজিত। সেটিকে নিজের বাইবেল আখ্যা দিয়েছিলেন পরিচালক। তাঁর কড়া নির্দেশ ছিল, সত্যজিৎ রায়ের লেখার কোনও শব্দ পালটানো যাবে না। যদি তার জন্য একাধিকবার টেক দিতে হয় তা দিতে হবে। এতটাই পারফেকশনিস্ট পরিচালক।
সিরিজে জটায়ুর ভূমিকায় অভিনয় করে আগেই প্রশংসা পেয়েছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী (Anirban Chakraborty)। তোপসে হিসেবে কল্পন মিত্রকেই দেখা যাবে। সংগীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন জয় সরকার। সকলেই ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি’তে অভিনয় করে খুশি। সৃজিতের সঙ্গে একাধিক কাজ করেছেন অনির্বাণ। একটা কামফর্ট জোন তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাঁর মতে সেটের মধ্যে কারও যদি গোয়েন্দা হওয়ার গুণ থাকে, তিনি খোদ পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।