দীপঙ্কর মণ্ডল: এসএসসি (SSC) আন্দোলনকারীদের জন্য সুখবর। গত ৫ মে নবান্ন থেকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) যে ঘোষণা করেছিলেন, তা কার্যকর করা হল। বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যে শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সব বিষয় মিলিয়ে ৬৮৬১ টি নতুন পদ তৈরি করা হয়েছিল দপ্তরের তরফে। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই প্রস্তাব পাশ হয়। এর বাইরেও স্কুল সার্ভিস কমিশন নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের (Recruitment) বিজ্ঞপ্তি দ্রুতই প্রকাশ করবে বলে জানা গিয়েছে।
আগের প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। আইন দপ্তর এবং কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) এজির সঙ্গে কথা বলে তা সম্প্রসারিত করেছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর। ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়ে যাঁরা মেধাতালিকায় সুযোগ পেয়েছেন, সেই প্যানেল থেকে দ্রুত নিয়োগ হবে শিক্ষকদের। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক দু’টি বিভাগেই হবে শিক্ষক নিয়োগ। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৯৩২ জনকে নবম-দশমের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হবে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে চাকরি পাবেন ২৪৭ জন শিক্ষক। গ্রুপ-সি কর্মী নেওয়া হবে ১১০২ ও গ্রুপ-ডি’তে নেওয়া হবে ১৯৮০ জনকে। এছাড়াও পুরনো তালিকা থেকে কর্মশিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক পদে নেওয়া হবে ৭৫০ ও শারীরশিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক হিসাবে নেওয়া হবে ৮৫০ জনকে।
[আরও পড়ুন: মালদহে জোর করে ধর্মান্তকরণের অভিযোগ, CBI ও NIA-কে তদন্তভার দিল কলকাতা হাই কোর্ট]
শেষবার এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয় ছ’বছর আগে। মেধাতালিকায় থেকেও চাকরি না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন কেউ কেউ। শিক্ষামন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন, এসএসসির ২০১৬ সালের প্যানেলের মেয়াদ ২০২২-এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মেধাতালিকায় যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক সিদ্ধান্তে তাঁদের নতুন পোস্ট তৈরি হয়েছে। আদালতের নির্দেশে এক ক্যানসার রোগীও চাকরি পাবেন।
[আরও পড়ুন: অর্জুন সিংয়ের আন্দোলনের সাফল্য, পাটের সর্বোচ্চ দাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের]
শারীরশিক্ষা এবং কর্মশিক্ষা প্রার্থীদের সঙ্গে ইদের দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) কথা বলেছিলেন। তারপরই কর্মশিক্ষায় ৭৫০ এবং শারীরশিক্ষায় ৮৫০ টি পোস্ট তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইদের দিনই ধরনামঞ্চে গিয়েছিলেন শিক্ষা দপ্তরের দুই কর্তা। তাঁদের আবেদনে বিকাশ ভবনেও গিয়েছিল শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদল। স্কুলশিক্ষা দপ্তরের কমিশনারের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা হয়েছিল। সেই দলের রাজু দাস, সাফিয়া খাতুন, শিবানী কুইতি রায় ও মাহফুজুর রহমান এদিনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। রাজু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় একটা রাস্তা খুলল। আমরা আশাবাদী, আমাদের দ্রুত নিয়োগ সম্পন্ন হবে।’’ সাফিয়া বলেন, ‘‘আমরা যতক্ষণ না নিয়োগপত্র হাতে না পাচ্ছি ততক্ষণ পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাব।’’