দীপঙ্কর মণ্ডল: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (SSC Scam Case) তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তলবে নিজাম প্যালেসে যান রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীশ জৈন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ কলকাতার সিবিআই দপ্তরে পৌঁছন তিনি। প্রায় ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নিজাম প্যালেস থেকে বেরলেন শিক্ষাসচিব।
এসএসসি দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিকে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক কাগজপত্রে মণীশ জৈনের সই রয়েছে তাঁর। ওই সমস্ত নথিপত্র নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
[আরও পড়ুন: শিয়ালদহ মেট্রোয় প্রথম সফরের সাক্ষী হওয়ার হিড়িক, কেউ জাগলেন সারারাত, কেউবা ৩টে থেকে লাইনে]
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam Case) একের পর এক যুগান্তকারী রায় দেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর রায়ে চাকরি হারিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা। দুই কিস্তিতে ১৮ মাসের প্রাপ্ত বেতনের টাকাও ফেরত দিতে হয়েছে তাঁকে। মন্ত্রীকন্যার জায়গায় চাকরি পেয়েছেন কোচবিহারের ববিতা। ১৮ মাসের বেতনও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। যদিও এই টাকা তিনি সমাজকল্যাণমূলক কাজে লাগানোর আশ্বাস দেন।
ববিতা স্কুলে যোগ দেওয়ার পর তিনি বলেন, “অবশেষে দীর্ঘ ৪ বছরের লড়াইয়ে জয় পেলাম। ছোট থেকে নিজেকে শিক্ষিকা হিসাবে দেখার ইচ্ছা ছিল। সেই দিনটা জীবনে এসেছে। খুব খুশি হয়েছি।” শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে (Ankita Adhikari) নিয়ে অবশ্য কোনও কথাই বলতে চাননি। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে হাতজোড় করে ধন্যবাদ জানিয়ে ববিতা বলেন, “উনি আমাদের মতো বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ভগবান। ওঁর বিচক্ষণতার জন্য সমস্ত দুর্নীতি সামনে এসেছে। উনি আমাদের জন্য যা করেছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত কৃতজ্ঞ থাকব। আইনজীবীর প্রতিও আমি সমান কৃতজ্ঞ।” তবে এখনও বহু এসএসসি পরীক্ষার্থী আন্দোলনে শামিল। তাঁরাও সুবিচার পাবেন বলেই আশা।