স্টাফ রিপোর্টার: প্রায় চারঘণ্টা এসএসকেএম হাসপাতালে কাটিয়ে খালিহাতে ফিরে গেল ইডি। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ভয়েস টেস্ট করা হল না। বৃহস্পতিবার বেলা বারোটা নাগাদ ইডির আধিকারিকরা হাজির হন এসএসকেএম হাসপাতালে। সোজা চলে যান মেডিক্যাল সুপার ডা.পীযূষকান্তি রায়ের দপ্তরে। প্রায় দু’মাস ধরে কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর ভয়েস টেস্ট করার জন্য অনুমতি চান। প্রায় দুদফায় আলোচনা হয় এসএসকেএম আধিকারিকদের সঙ্গে, কিন্তু কার্ডিওলজির দোতলায় প্রায় দুমাস ধরে ভর্তি সুজয়ের ভয়েস টেস্ট করার অনুমতি মেলেনি।
এসএসকেএম সূত্রে খবর, গলার স্বরের নমুনা পরীক্ষার জন্য যে শারীরিক ক্ষমতা দরকার তার অভাব রয়েছে ওই ব্যক্তির। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ইডি আধিকারিকদের একবার হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের দিকে যেতে দেখা যায়। কিন্তু কিছু পরেই তাঁরা হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। উল্লেখ্য, এর আগেও সুজয়ের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ বা পরীক্ষার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে যান ইডি আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: ধৃত জ্যোতিপ্রিয়র পাশে তৃণমূল, ‘আরও অনেকে গ্রেপ্তার হবে’, খোঁচা দিলীপের]
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত ৩০ মে গ্রেপ্তার হন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। তার কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়। সেই সময় প্যারোলে ছাড়া পেয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। তারপর জেলে ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ভরতি করা হয় এসএসকেএমে। পরবর্তীতে তাঁর চিকিৎসা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। হার্টের পরিস্থিতি ভাল না হওয়ায় অস্ত্রোপচার জরুরি ছিল।
এসএসকেএমে অপারেশনে রাজি ছিলেন না কালীঘাটের কাকু। তিনি বারবার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার আবেদন করে আদালতে। তার প্রতিবাদ করে ইডি। শেষে বেসরকারি হাসপাতালেই হয় অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচারের পর জেলে ফেরেন কালীঘাটের কাকু। ওইদিনই ফের বুকে ব্যথা শুরু হওয়ায় এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই আপাতত ভর্তি রয়েছেন তিনি।