সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড় দাদা আলাগিরির হুমকির মধ্যেই ডিএমকের সভাপতি পদে বসলেন এমকে স্টালিন। মঙ্গলবার চেন্নাইয়ে ডিএমকে সদর দপ্তরে সাধারণ সভার বৈঠকে দলের তরফে প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। এর আগে করুণানিধির মৃত্যুর পর শীর্ষপদের জন্য নির্বাচনের কথা ঘোষণা করে তামিলনাড়ুর প্রধান বিরোধী দল। কিন্তু অবশ্যম্ভাবীভাবেই স্টালিন ছাড়া আর কেউ এই পদের জন্য মনোনয়ন জমা দেননি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন স্টালিন। মঙ্গলবার সদর দপ্তরে দলের সব স্তরের নেতাকর্মীরাই হাজির ছিলেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্টালিনের নাম ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পার্টি অফিসের সামনে উৎসবে মাতেন সমর্থকরা।
[‘মোদির ভাষণের জন্যই কি দেরিতে ঘোষণা বাজপেয়ীর মৃত্যুর খবর?’]
দলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই সভাপতি পদে আসীন ছিলেন করুণানিধি। ৪৯ বছর পর দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন স্টালিন। করুণা অসুস্থ হওয়ার পর গত একবছর ধরে তিনিই দলের দায়িত্বে আছেন। শেষ বিধানসভা নির্বাচনেও তাঁর নেতৃত্বেই লড়েছিল দল। স্বাভাবিকভাবেই দলে বাড়তি প্রতিপত্তি রয়েছে তাঁর। তাই এদিন তামিলনাড়ু জুড়েই উৎসবের মেজাজে কাটাবেন ডিএমকে সমর্থকরা।
[মোদিকে কড়া ভাষায় চিঠি মনমোহন সিংয়ের, কিন্তু কেন?]
তবে, উৎসবের মাঝে কিন্তু অস্বস্তির কাঁটা হয়ে রয়ে গেলেন স্টালিনের দাদা আলাগিরি। ২০১৪ সালে আলাগিরিকে দল থেকে বহিঃস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন করুণানিধি। মূলত স্টালিনের সঙ্গে বিরোধের জেরেই দল থেকে বের করে দেওয়া হয় তাঁকে। করুণার মৃত্যুর পরই তাঁকে দলে ফেরানোর দাবি জোরালো হতে থাকে। তাঁর সমর্থকরা একপ্রস্থ হুমকিও দিয়ে রেখেছেন আলাগিরি। তাঁকে দলে ফেরানো না হলে আগামিদিনে ফল ভাল হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যদিও, আলাগিরিকে এখনই দলে ফেরানোর কোনও প্রশ্নই নেই, জানিয়ে দিয়েছেন ডিএমকে-র শীর্ষ নেতারা। স্টালিন শপথ নেওয়ার পর তাঁকে টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।