সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাতসকালে মালগাড়ির ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃত ৮। কার গাফিলতি? কীভাবে দু্র্ঘটনা? তা নিয়ে উঠে আসছে একাধিক তত্ত্ব। একাংশের দাবি ছিল, সিগন্যাল মানেননি মালগাড়ির চালক। এসবের মাঝেই প্রকাশ্যে নয়া তথ্য। দুর্ঘটনার নেপথ্যে উঠে আসছে সিগন্যাল বিভ্রাট!
বিষয়টা ঠিক কী? রেলের তরফে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ৫ টা বেজে ৫০ মিনিট থেকে রাঙাপানি ও আলুয়াবাড়ির মাঝের অটোমেটিক সিগন্যাল বন্ধ ছিল। ফলে সকাল থেকেই ট্রেন চলাচল হচ্ছিল অত্যন্ত ধীর গতিতে। পেপার লাইন ক্লিয়ার টিকিটের মাধ্যমে চলাচল করছিল ট্রেন। সকাল ৮ টা বেজে ২৭ মিনিট নাগাদ পেপার মেমো অর্থাৎ কাগুজে ছাড়পত্র পেয়েই রাঙাপানি স্টেশন ছেড়ে এগোয় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। জানা গিয়েছে, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে TA912 ফর্ম দিয়েছিলেন রাঙাপানির স্টেশন মাস্টার। যার ভিত্তিতে সিগন্যাল না থাকলেও নির্দিষ্ট গতিতে ট্রেন এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন চালক।
[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের দুর্ঘটনাস্থলে যেতে দেরি কেন? কেন্দ্রকে দুষে ব্যাখ্যা দিলেন মমতা]
এদিকে ৮ টা বেজে ৪২ মিনিট নাগাদ রাঙাপানি স্টেশন ছাড়ে মালগাড়িটি। এতেই মাথাচাড়া দিচ্ছে একাধিক প্রশ্ন। দুটি ট্রেনের মাঝে সময়ের ব্যবধান ছিল ১৫ মিনিট। পেপার মেমোয় যদি কোনও ট্রেন চালানো হয়, সেক্ষেত্রে নিয়মই হচ্ছে গতি প্রতি ঘণ্টায় হবে ১০ কিমি। এতেই প্রশ্ন তবে কীভাবে পনেরো মিনিট ব্যবধানে চলা দুটি ট্রেন এত কাছে এল? তবে কি কাগুজে ছাড়পত্রের নিয়ম মানেননি চালক? তার জেরেই কি বলি হতে হল ৮ জনকে? উত্তর এখনও অধরা। তবে তদন্তে গোটা বিষয়টা স্পষ্ট হবে বলেই মনে করছে রেল।