শেখর চন্দ্র, আসানসোল: হোক বেআইনি। তবু বালি পাচার করতে দিতে হবে। ছোট ডালা অটো, ট্রাক্টরে করে বালি নিয়ে যেতে দিতে হবে। এই দাবিতে গাড়িচালকরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন। আসানসোলের কুলটির সাকতোরিয়া ফাঁড়ির পুলিশকে ঘিরে ওই বিক্ষোভের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন সাত গাড়িচালক।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পর বন্ধ হয়েছে বালি পাচার। অভিযোগ, তারপরেও চোরাগোপ্তা ছোটগাড়িতে বালি পাচার চলছিল। বিশেষ করে ডিসেরগড়ের দামোদর তীরে রক্তা, হাতিনল ঘাট এলাকা থেকে বালি তোলা হয়। অথচ, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এই ঘাটগুলিতে বৈধ বালি তোলার অনুমতি নেই। তবু অবৈধভাবে ছোট গাড়িতে করে বালি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কুলটিতে। এই পাচার আটকে দিয়েছে পুলিশ। আর তার জেরেই বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, কর্মসংস্থান নেই। তাই বালি পাচারের কাজ করতে দিতে হবে।
শুক্রবার একটি বেআইনি বালি বোঝাই অটো ধরতে গিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। রীতিমতো বিক্ষোভের মুখে পড়ে সাঁকতোড়িয়া পুলিশ। অভিযোগ, বালি পাচারকারীরা সেই অটো আটকাতে বাধা দেন চালকরা। পথ অবরোধ করে বিক্ষোভও চলে। গাড়ির চালকরা প্রকাশ্যে বলেন, বিকল্প কোনও কাজ নেই। বিকল্প কাজের ব্যবস্থা না হলে বালি চালানোর অনুমতি দিতে হবে। কয়লা, লোহা পাচার চললে বালিও পাচার করতে দিতে হবে। যদিও কোনও বক্তব্যকেই প্রশ্রয় দেননি পুলিশ কর্মীরা। বিক্ষোভ দেখানোর জন্য সাত গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার আদালতে তুললে তাঁদের নিজেদের হেফাজতে চেয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনার পর আরও কড়া পুলিশ-প্রশাসন। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কোনও অবৈধ পাচার চলবে না। বালি পাচার রুখতে আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে কুলটিতে।