নন্দন দত্ত, সিউড়ি: শান্তিনিকেতনের মোলডাঙায় শিশু খুনের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব বিজেপি। তবে এই পরিস্থিতিতেই পুলিশকে কার্যত ক্লিনচিট দিল রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। পুলিশের কোনও গাফিলতি ছিল না বলেই দাবি রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়ের।
শিশু খুন নিয়ে চাপা উত্তেজনার মাঝে বৃহস্পতিবার সকালে শান্তিনিকেতনের মোলডাঙায় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিদ্দিকা পারভিন ও জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক নিরুপম সিনহা। নিহত শিশু শিবম ঠাকুরের বাড়ি যান কমিশনের প্রতিনিধিরা। তাঁরা সদ্য সন্তানহারা মা ও বাবার সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। শিবমের বাবা বলেন, “আমরা অভিযুক্ত রুবি বিবির সঙ্গে কথা বলতাম না। কিন্তু এত বড় ক্ষতি করে দেবে ভাবতে পারিনি।”
[আরও পড়ুন: ভোটের ইঙ্গিত? হাওড়া পুরসভার ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা]
শিশুর পরিবারের সঙ্গে কথাবার্তার পর সুদেষ্ণা রায় বলেন, “পুলিশের কোনও গাফিলতি ছিল না। নিখোঁজ ডায়েরি করে বাড়ি ফিরে আসার আগেই পুলিশ এলাকায় আসে। তারা যথেষ্ট চেষ্টা করেছে। তারা যে শাস্তি দাবি করছে তা অভিযুক্ত পাবেই। তাতে তাদের কোলে আর শিশুকে ফিরে পাবে না। আমরা শোকগ্রস্ত পরিবারের পাশে আছি।” এছাড়াও তিনি বলেন, “শিশুদের উপর অত্যাচার কমাতে সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।” শিশু সুরক্ষা কমিশন এলাকা পরিদর্শনের পর পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে রিপোর্ট জমা দেবে।
উল্লেখ্য, তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর প্রতিবেশীর ছাদ থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় ধুন্ধুমার বেঁধে যায় মোলডাঙা গ্রামে। উত্তেজনা সামাল দিতে গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছিল মঙ্গলবার রাতেই। বুধবার সকাল থেকে থমথমে ছিল গোটা এলাকা। গোটা এলাকায় কার্যত অরন্ধন পালিত হয়। তবে পরিস্থিত পুলিশের নিয়ন্ত্রণে ছিল। গ্রামে হাজার তিনেক মানুষের বসতি। অধিকাংশই সংখ্যালঘু মানুষের বাস। প্রতিবেশীরা মৃত শিশুর বাড়িতে এসে তাঁর মাকে সান্ত্বনা দেন। অভিযুক্তদের চরম শাস্তির দাবিতে সরব হন শিশুর পরিবার এবং প্রতিবেশীরা। তাদের দাবি, অভিযুক্তর ফাঁসি হোক। নয়তো গ্রামবাসীর হাতে ছেড়ে দেওয়া হোক। তারাই শাস্তি দেবে।