শুভঙ্কর বসু: রাজ্যজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্তে পিছিয়ে গিয়েছে চার পুরনিগমের ভোট। আগামী ২২ জানুয়ারির বদলে ভোট হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি পুরনিগমের নির্বাচনের আগে ভোটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে একগুচ্ছ নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)।
ভোটকে কেন্দ্র করে যাতে ভোটারদের মধ্যে কোনও ভয় বা উৎকণ্ঠা না কাজ করে তার জন্য পুলিশকে ময়দানে নামার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এক নির্দেশিকা জারি করে কমিশন বলেছে, রুট মার্চ, এলাকায় টহলদারি করতে হবে। হোটেল, বিয়েবাড়ি, কমিউনিটি হলে বারবার তল্লাশি চালাতে হবে যাতে কোনওপ্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। শুধু তাই নয়, বহিরাগতদের উপর নজরদারিও চালাতে হবে। সীমান্তে বিশেষ নজরদারির কথা বলাও হয়েছে। গাড়িগুলির ভালভাবে তল্লাশি নিতে হবে। বেআইনি অস্ত্র, জাল মদ লেনদেন কোথাও হচ্ছে কি না, সে দিকেও বিশেষ নজরদারি চালাতে হবে।
[আরও পড়ুন: ফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ পরীক্ষার্থীদের, পর্ষদকে টেটের উত্তরপত্র প্রকাশের নির্দেশ দিল হাই কোর্ট]
একইসঙ্গে বলা হয়েছে, কোথাও জমায়েত হলে যাঁরা জমায়েত করছেন, তাঁদের পরিচয়ের বিস্তারিত খোঁজ খবর নিতে হবে। ভোটের (West Bengal Civic Polls) একদিন আগে পুলিশ মোতায়েন বাধ্যতামূলক। রিগিং হলে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা জোর করে বন্ধ করে দেওয়া কিংবা মুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করতে হবে। বাইক র্যালি পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
এর আগে ভোট প্রচারের ক্ষেত্রেও একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছিল কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলিকে ডিজিটাল প্রচারে জোর দিতে বলা হয়েছে। প্রত্যেক পুরনিগম এলাকায় নোডাল হেলথ অফিসার নিয়োগ করতে বলা হয়েছিল। করোনা টিকাকরণের ক্ষেত্রেও কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গণনার এজেন্ট, পোলিং অফিসার সকলেরই টিকার একটি ডোজ নেওয়া আবশ্যক।