shono
Advertisement

Breaking News

বর্ষা প্রবেশ করলেই ডেঙ্গুর দাপট বাড়ার আশঙ্কা, ব্লাড ব্যাংকগুলিকে প্লেটলেট মজুত রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্যভবনের

চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত ১১৩৮ জন।
Posted: 09:18 AM Jun 08, 2022Updated: 09:18 AM Jun 08, 2022

স্টাফ রিপোর্টার: মশাবাহিত ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু (Dengue) এবছর এখনও তেমনভাবে মাথাচাড়া দেয়নি। কিন্তু বাড়তেই পারে, এমন আশঙ্কাই করছে স্বাস্থ্যভবন। ফলে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলিকে।

Advertisement

গত কয়েক বছর ধরেই ডেঙ্গুর দাপট বাংলায়। তবে এবছর মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব এখনও তেমনভাবে শুরু হয়নি। কিন্তু বর্ষার আগে তেমনভাবে খাল, নালা সংস্কারও হয়নি। এই তথ্য জানতে পেরেই তৈরি থাকতে বলা হয়েছে হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলিকে। বিশেষ করে হেমারেজিক ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য ব্লাড ব্যাংকগুলিকে প্লেটলেট মজুত রাখতে বলা হয়েছে। এই মর্মে সব ব্লাড ব্যাংককে নির্দেশ পাঠিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। মোদ্দা কথা একটাই, দরকারের সময় যেন প্লেটলেট পাওয়া যায়। সব সরকারি ব্লাড ব্যাংকে অবশ্য রক্তের বিভিন্ন উপাদান আলাদা করার ব্যবস্থা এখনও হয়ে ওঠেনি। কারণ, একেকটি যন্ত্রের দাম বিশাল।

[আরও পড়ুন: নীরব মোদি-মালিয়ার উপর নজর রাখলে ৩০ হাজার কোটি বাঁচত, কেন্দ্রকে তোপ অভিষেকের]

রাজ্যের ৮৭টি সরকারি ব্লাড ব্যাংকের মধ্যে মাত্র ৪০টির বেশি ব্লাড ব্যাংকে এই সুবিধা আছে। একমাত্র সেখানেই রক্ত-উপাদান পৃথকীকরণের মাধ্যমে রক্ত থেকে প্লেটলেটস আলাদা করে নেওয়া হয়। যা হেমারেজিক ডেঙ্গি চিকিৎসার জন্য একটি জরুরি ওষুধ। হেমারেজিক ডেঙ্গিতে আক্রান্ত এক-একজন রোগীর গড়ে অন্তত ৫-৭ ইউনিট করে প্লেটলেটস লাগে। বেশ কিছু ব্লাড ব্যাংকে প্লেটলেটের মতো জীবনদায়ী রক্ত-উপাদান একেবারে তলানিতে। রবি-সোম-মঙ্গলবারের সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, কোথাও ১৯ ইউনিট, কোথাও বা মাত্র ১৭ ইউনিট প্লেটলেটস মজুত আছে। কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে তো এক ইউনিট প্লেটলেটও নেই। তাই পরিস্থিতি শোধরাতে মরিয়া স্বাস্থ্য দপ্তর। কেননা, করোনাকালে ডেঙ্গির তেমন দাপাদাপি দেখা না গেলেও, এ বছর তা হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, “২০২০-তে ৫,১৬৬ জন এবং ২০২১-এ ৮,২৬৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন রাজ্যে। আর এ বছর বর্ষার নামগন্ধ না থাকা সত্ত্বেও মে মাসের শেষ পর্যন্ত ১১৩৮ জন ডেঙ্গিতে সংক্রমিত হয়েছেন।” বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পর এই সংখ্যাটা লাফিয়ে বেড়ে গিয়েছে বলেই চিন্তিত স্বাস্থ্যকর্তারা। কেন এই উদ্বেগ? স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, গত পাঁচ বছরে মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১০১২ জনকে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে দেখা গিয়েছিল। করোনাকালের দু’টি বছরে তা আরও কম। কিন্তু এ বছর সেই সংখ্যাটাই বেশি। এর মধ্যে কলকাতায় ১০৩ জন, জলপাইগুড়িতে ৩১১ জন ও উত্তর ২৪ পরগনায় ১৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন এ যাবৎ। জুলাই-আগস্টের ভরা বর্ষার পর এই সংখ্যাটা অনেক গুণ বেড়ে যাবে ভেবেই স্বাস্থ্যদপ্তর প্লেটলেট মজুতের নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে ডেঙ্গু পরীক্ষার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘অভিযুক্ত পুলিশ, পুলিশি তদন্তে আস্থা থাকবে কীভাবে?’, আনিস কাণ্ডে কড়া প্রশ্ন কলকাতা হাই কোর্টের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement