গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: সন্দেশখালি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। ঘটনার পর চারদিন পেরিয়েছে। এখনও বেপাত্তা শেখ শাহজাহান। এদিকে এলাকায় রটেছে গ্রেপ্তার হয়েছেন তৃণমূল নেতা। তবে পুলিশ বা ইডির তরফে এবিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। ফলে কোথায় দাপুটে এই তৃণমূল নেতা, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। শাহজাহানের ভাইয়ের দাবি, তিনিও জানেন না দাদা কোথায়। আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা।
বর্তমানে সংবাদ শিরোনামে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া আগালহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ন্যাজাট থানার আকুঞ্জিপারার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। প্রশ্ন একটাই, কোথায় তিনি? বিরোধী দলনেতা নানারকম দাবি করেছেন। কখনও বলেছেন বাংলাদেশে, কখনও বলেছেন পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তৃণমূল নেতা। এরই মাঝে এলাকাজুড়ে চাউর হয়েছে গ্রেপ্তার হয়েছেন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। কিন্তু আদৌ গ্রেপ্তার হয়েছেন কি? জানা নেই কারও। এদিকে বন্ধ শেখ শাহজাহানের মোবাইল।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশে মহম্মদ শামি, মালদ্বীপ বয়কটের ডাক দিলেন টিম ইন্ডিয়ার পেসার]
শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর অর্থাৎ সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বলেন, “আমাদের পরিবার আতঙ্কিত। ছোট বাচ্চারা কান্নাকাটি করছে। গৃহ শিক্ষকরা বাড়িতে আসছে না। সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমার পরিবার।” তিনি আরও বলেন, কেউ বলছেন শাহজাহান বাংলাদেশে। কিন্তু কীভাবে যাবে? কেউ আবার বলছে তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভাত খাওয়াদাওয়া করছে। কোথায় ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের মোবাইলে মেসেজ আসছে। তারাই তো সব জানে, আমরা কী করে বলব?
এদিকে ইডির উপর গ্রামবাসী ও তৃণমূলের হামলার স্বপক্ষে কথাও বলেছেন শেখ আলমগীর। তিনি বলেন, সেদিন তাঁরা বাড়িতে ছিলেন না । হঠাৎ একটি গাড়ি গিয়ে গেটের তালা ভাঙতে শুরু করে। ফলে কেউ ভাবে বাড়িতে ঢুকে বিভিন্ন ছবি তুলে হয়তো ফাঁসানো হতে পারে শাহজাহানকে। সেই কারণেই প্রতিবাদ করে তাঁরা।