কৃষ্ণকুমার দাস ও নব্যেন্দু হাজরা: করোনার (Coronavirus) শৃঙ্খল ভাঙতে লোকাল ট্রেন (Local train) বন্ধ। রাস্তায় বাসের সংখ্যাও কম। এই অবস্থায় জেলা-মফস্বলের মানুষদের শহরে অফিস-কাছারি আসতে দুর্ভোগের একশা অবস্থা হচ্ছে। তাই এবার জলপথে যাত্রীরা যাতে করোনাবিধি মেনে কলকাতায় আসাযাওয়া করতে পারেন তাই গঙ্গার একাধিক ঘাট থেকে ঘনঘন জলযান (Launch) চালাবে রাজ্যের পরিবহন দপ্তর। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়ে দিলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
এদিন তিনি বলেন, “আগেরবার লকডাউন ওঠার পর মানুষের সুবিধায় যেভাবে লঞ্চের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানো হয়েছিল, এবারও তেমনটা করা হবে। সোমবার থেকেই যাত্রীরা এই পরিষেবা পাবেন। আগের বারও লকডাউন উঠে যাওয়ার অনেক পরে লোকাল ট্রেন চালু হয়েছিল, যাত্রীরা এই ভেসেলেই যাতায়াত করেছিলেন। কোভিডবিধি মেনে এবারও তেমনই হবে। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তাদের।” পাশাপাশি যে সব জায়গা থেকে যাত্রীরা বাস পাচ্ছেন না, সেখানেও বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেই জানান মন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: প্রতিবেশী রাজ্যের নদীতে ভাসছে করোনায় মৃতদের লাশ, বাংলায় জলদূষণের আশঙ্কা ফিরহাদের]
প্রসঙ্গত, গতবার লকডাউনের পর যখন ধীরে ধীরে অফিস-কাছারি খুলছিল সেই সময় যাত্রী সুবিধার্থে চন্দননগর, চুঁচুড়া, হুগলি, শ্রীরামপুর, নৈহাটি, বেলুড়, উত্তরপাড়া, দক্ষিণেশ্বর, বরাহনগর কুঠিঘাট-সহ একাধিক ঘাট থেকে জলপথে যাত্রীদের কলকাতায় আনা হত নির্দিষ্ট সময় অন্তর। বিশেষত সকাল এবং বিকেলে অফিস টাইমে ঘনঘন ভেসেল চালিয়ে সরকার যাত্রী ভোগান্তি অনেকটা কমিয়েছিল। বর্তমানে সেই একই কায়দায় যাত্রীদের শহরে আসার পথ প্রশস্ত করতে চাইছে পরিবহন দপ্তর।
ইতিমধ্যেই এবিষয়ে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন দপ্তরের কর্তারা। তাঁরা জানান, রুট এবং সময়সূচি ঠিক করা হচ্ছে। সোমবার থেকেই এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। একই সঙ্গে বর্ধমান, হুগলি, দুই ২৪ পরগনার একাধিক জায়গা থেকে কলকাতাগামী বাসও চালু করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ধর্মতলা থেকেও বাড়ছে বাস। নৈহাটি, শ্রীরামপুর, চুঁচুড়া, চন্দননগরের বাসও বেড়েছে। এদিকে বাসের সংখ্যা বাড়ছে গড়িয়া-বেহালা রুটেও।