অর্ণব আইচ: সেনা গোয়েন্দাদের খবরের ভিত্তিতে পূর্ব কলকাতার এন্টালির নির্মীয়মান বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ২২টি তাজা বোমা। বাড়ির চার মালিক ও প্রোমোটারকে জেরা শুরু হচ্ছে। বাড়ির মধ্যে এই তাজা বোমাগুলি ফেটে গেলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলেই ধারণা পুলিশের।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে সেনা গোয়েন্দাদের দুই আধিকারিক এন্টালি থানায় আসেন। তাঁরা পুলিশকে বোমার ব্যাপারে তথ্য দেন। সেই অনুযায়ী পুলিশ এন্টালির স্যার সৈয়দ আহমেদ রোডে একটি নির্মীয়মান বাড়িতে হানা দেয়। গোয়েন্দাদের সঙ্গে নিয়েই বাড়িটির একতলার কোণের দিকের একটি ঘর খুলে তল্লাশি চালান পুলিশ আধিকারিকরা। দেওয়াল লাগোয়া একটি কুঠুরির ভিতর থেকে দুটি বাক্স বের করা হয়। তার ভিতর থেকে উদ্ধার হয় মোট ২২টি তাজা বোমা।
[আরও পড়ুন: দু’মাস পরেই প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা, এখনও স্কুল না খোলায় উদ্বেগে উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়ারা]
কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) গোয়েন্দা বিভাগের বম্ব ডিসপোসাল স্কোয়াড গিয়ে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করে। তদন্তের পর পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, এই পাঁচতলা নির্মীয়মান বাড়িটির প্রোমোটারের নাম মহম্মদ কওসর। যে জমির উপর বাড়িটি তৈরি হচ্ছে, সেটির মালিক ছিলেন নাসিম আখতার, শামিম আখতার ও তাঁদের আরও দুই ভাই। যে ঘরটি থেকে বোমা উদ্ধার হয়েছে, তার প্লাস্টারের কাজ সব শেষ হয়েছে। প্রোমোটার মেঝে ও বিদ্যুতের কাজও শেষ করেছেন। ঘরটি এখনও কোনও বাসিন্দার থাকার মতো হয়নি। পুলিশের ধারণা, সামনে ভোট। তার আগেই দুষ্কৃতীরা বোমা বানিয়ে লুকিয়ে রাখছে।
এর আগেও পূর্ব কলকাতায় (East Kolkata) বোমাবাজির খবর মিলেছে। কয়েক মাস আগে বেলেঘাটার একটি ক্লাবে লুকিয়ে রাখা বোমা ফেটে উড়ে যায় ক্লাবের একাংশ। যেহেতু এন্টালির ওই নির্মীয়মান বাড়িতে কেউ থাকেন না, তাই তার মধ্যে বোমাগুলি রাখা সহজ বলে মনে করে দুষ্কৃতীরা। বোমার নমুনা ফরেন্সিকে পাঠানো হবে। পুলিশ আধিকারিকদের মতে, প্রোমোটার বা তাঁর লোকজনের পক্ষে বোমাগুলি কারা রেখেছে, তা জানা সম্ভব। এমনকী, বাড়ির মালিকরাও এই তথ্য জানতে পারেন। এই বোমা উদ্ধারের পর পুলিশ আরও সতর্ক হয়েছে। কলকাতার অন্য নির্মীয়মান বাড়িগুলিতেও নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।