জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ফের সিমবক্স-সহ রাজ্যে গ্রেপ্তার এক বাংলাদেশি নাগরিক। রাজ্য পুলিশের এসটিএফের (STF) হাতে গ্রেপ্তার আরও একজন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোল (Petrapol) থেকে এই গ্রেপ্তারিতে আরও বিপদ দেখছেন গোয়েন্দারা। এসটিএফ সূত্রে খবর, পেট্রাপোলের জয়ন্তীপুর থেকে শনিবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে দু’জনকে। এদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি, অপরজন ওড়িশার বাসিন্দা বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
চলতি মাসের ২ তারিখ দমদম বিমানবন্দর এলাকা থেকে সিমবক্স ও অন্যান্য উচ্চপ্রযুক্তির একাধিক সামগ্রী-সহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে ২৩ টি সিমবক্স, ২৫৬টি সিমের স্লট, ওয়াইফাই মডেম বাজেয়াপ্ত করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। তিনজনের মধ্যে বাংলাদেশি ব্যক্তিই গোটা চক্রের মাথা বলে মনে করা হচ্ছে। এসটিএফের তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা চক্রের হদিশ পেতে মরিয়া। এত হাইটেক জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় বেশ চিন্তিত এসটিএফ।
[আরও পড়ুন: Visva Bharati: ৩ পড়ুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত খারিজের দাবি, রিলে অনশনের পথে আন্দোলনকারীরা]
এরপর নদিয়ার নাকাশিপাড়া থেকেও সিমবক্স উদ্ধার করেন এসটিএফের তদন্তকারীরা। শনিবার রাতেই আবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বনগাঁর পেট্রাপোল থেকে এক বাসিন্দা-সহ ২ জন গ্রেপ্তার, সঙ্গে বাজেয়াপ্ত অন্তত ৭টি সিমবক্স। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে একজনের নাম সাহ আলম তালুকদার। তার বয়স ৩৫ বছর। সে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শরিয়তপুরের বাসিন্দা। অপরজন আফতার আলি খানের বাড়ি ওড়িশার ভদ্রকে। এদের আদালতের পেশ করে নেপথ্যে আরও বড় কোনও চক্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে এসটিএফ।
[আরও পড়ুন: বিয়ের আতঙ্কে ঘর ছেড়েছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক, ঘরে ফেরাল হ্যাম রেডিও]
সম্প্রতি সাইবার অপরাধের অন্যতম মূল হাতিয়ার হয়ে উঠছে এই সিমবক্স। আসলে এটা এমন এক যন্ত্র যার সাহায্যে আন্তর্জাতিক কলকে (International calls) লোকাল কল হিসেবে দেখানো যায়। আর সেই কারণেই এর ব্যবহার এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে অপরাধীদের কাছে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, সিমবক্স হল এক ধরনের সিম ব্যাংক। এর মধ্যে শতাধিক সিম কার্ড ঢোকানো যায়। বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিদেশ থেকে আসা কলকে লোকাল নম্বরে ডাইভার্ট করে দেওয়া যায় সিমবক্সের সাহায্যে। এর ফলে আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও অপরাধ হলে সহজে তা বোঝা যায় না।