সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতভর আফটার শকে কেঁপে উঠল জাপানের (Japan Eathquake) বিভিন্ন প্রান্ত। রিখটার স্কেল বলছে, মূল ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.১। কিন্তু আফটার শকের মাত্রা ছিল ৭.৩। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক বাসিন্দা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজধানী টোকিও, ফুকুশিমা, মিয়াগি এলাকা।
জানা গিয়েছে কম্পনের ধাক্কায় লাইনচ্যুত হয় বুলেট ট্রেনও (Bullet Train)। এর থেকেই ভূমিকম্পের তীব্রতা সহজেই অনুমান করা যায়। তবে ট্রেনের কর্মী ও যাত্রী সহ মোট ৭৫ জন ছিলেন, তাঁদের কেউ হতাহত হয়নি। তবে প্রায় ৪ ঘণ্টা তাঁরা ট্রেনের ভিতরেই আটকে ছিলেন। মূল বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভালবাসাকেই স্বীকৃতি, সব বাধা পেরিয়ে আদালতেই চার হাত এক হল দম্পতির]
এদিকে কম্পনের ধাক্কায় প্রায় ২০ লক্ষ বাড়ি বিদ্যুতহীন। এর মধ্যে টোকিওতেই রয়েছে ৭০ হাজার বাড়ি। বন্ধ বহু এক্সপ্রেসওয়ে। জারি রয়েছে সুনামির সতর্কতাও। প্রায় ১ মিটার উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ছে সৈকত এলাকায়। তাও দেশের উত্তর পশিচম প্রান্তের ক্ষয়ক্ষ়তির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। জানার চেষ্টা চলছে। তবে শুধু জাপান নয়, সুনামির আশঙ্কা রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, ওয়াশিংটন, আলাস্কা-সহ একাধিক এলাকায়।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ আচমকা কেঁপে ওঠে রাজধানী টোকিও (Tokyo)-সহ পূর্ব জাপানের বিস্তীর্ণ এলাকা। এর পরই জাপানের উত্তর-পূর্ব সমুদ্র সৈকতে আছড়ে পড়তে পারে সুনামি, এমন আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করে জাপান মেটারোলজিকাল এজেন্সি। প্রথম ধাক্কার রেশ কাটিয়ে ওঠার আগেই পর পর বেশ কয়েকবার কম্পন অনুভূত হয় জাপানে।
[আরও পড়ুন: ঝালদা কাণ্ডে অভিযুক্তর স্কেচ প্রকাশ, IC’র বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক মৃত কাউন্সিলরের ভাইপো]
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ভয়াবহ কম্পনে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিল জাপান। সেইসময় কম্পনের মাত্রা ছিল ৯। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র। এবারের কম্পনে সেরকম বড় কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।