shono
Advertisement
Hingalganj

খসে পড়ছে চাঙড়! প্রাণ বাঁচাতে ছাতা মাথায় ক্লাসে হিঙ্গলগঞ্জের কচিকাঁচারা

কেন প্রাণ হাতে করে ক্লাস করাচ্ছেন শিক্ষকরাও?
Published By: Subhankar PatraPosted: 06:28 PM Jun 20, 2024Updated: 06:28 PM Jun 20, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলঘরের ছাদে ফাটল। ইতিমধ্যেই অনেক জায়গার চাঙড় ভেঙে পড়েছে। ঘরের দেওয়ালেরও অবস্থা খারাপ। সেই অবস্থাতেই চলছে পড়াশোনা। শ্রেণীকক্ষে বাচ্চাদের একহাতে বই। অন্য হাতে রয়েছে ছাতা। হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি পুকুরিয়া আদিবাসী প্রাথমিক স্কুলে এলেই চোখে পড়বে এমন আশ্চর্য দৃশ্য।

Advertisement

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন আগেই স্কুলের একটি অংশে ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়েছে। বাকি অংশ বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। যে কোনও সময় তা ভেঙে পড়তে পারে। এমনকী বৃহস্পতিবার স্কুল চলাকালীনও সিমেন্টের দলা ভেঙে পড়ে। অল্পের জন্য রক্ষা পায় ছাত্রছাত্রীরা। তার পরেও এক প্রকার প্রাণ হাতে করেই সেখানে পড়াতে হচ্ছে শিক্ষকদের। শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, স্কুলভবন সারাই করা না হলে এই অবস্থায় পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া খুব বিপদের।

[আরও পড়ুন: কী কারণে মুহূর্তে পুড়ে ছাই হলং বাংলো? জানালেন মুখ্য বনপাল]

তবুও কেন এই বিদ্যালয় ভবনেই স্কুল চালানো হচ্ছে? সংস্কার হচ্ছে না কেন? প্রশ্নের উত্তরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, "বিষয়টি বহুবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।" এমন পরিস্থিতিতে অসহায় অভিভাবকরা। একজন জানাচ্ছেন, "এখানে আরও একটি স্কুল আছে বটে। তবে সেটা অনেক দূরে। বাচ্চাদের পাঠাতে পারি না। কিন্তু এই পরিস্থিতি যদি না বদলায় তাহলে আর বাচ্চাকে পাঠাব না।" এই প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৪৮। তাদের এখন ছাতা মাথায় দিয়েই ক্লাস করতে হচ্ছে। এক খুদে বলে, "চাঙড় ভেঙে ভেঙে পড়ছে। তাই আমরা ছাতা মাথায় পড়াশোনা করছি। ছাদ ঠিক না হলে আমরা আর আসব না।" আপাতত স্কুলটির শিক্ষক থেকে পড়ুয়া বা অভিভাবক- সকলের একটাই প্রার্থনা। দ্রুত এই পরিস্থিতির দিকে নজর দিন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। 

[আরও পড়ুন: ভদ্রেশ্বরের নিখোঁজ শিশুর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • স্কুল ঘরের ছাদে ফাঁটল। ইতিমধ্যেই অনেক জায়গার চাঙড় ভেঙে পড়েছে। ঘরের দেওয়ালেরও অবস্থা খারাপ।
  • সেই অবস্থাতেই কাজ চলছে। শ্রেণীকক্ষে বাচ্চাদের একহাতে বই, অন্য হাতে রয়েছে ছাতা।
  • বিষয়টি বহুবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি বলে জানাচ্ছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
Advertisement