সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরীক্ষা ও শিক্ষক-অভিভাবক বৈঠক পিছিয়ে দিতে দ্বিতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়াকে গলা কেটে খুন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত ৫ বছর ধরে জেলবন্দি অভিযুক্ত সেই তরুণকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ঘটনার সময় গুরুগ্রামের এক বেসরকারি স্কুলের ওই পড়ুয়ার বয়স ছিল ১৬ বছর। গত সোমবারই জেজেবি তথা জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড নির্দেশ দিয়েছিল, ঘটনার সময় কিশোর থাকলেও অভিযুক্ত প্রদ্যুম্নকে প্রাপ্তবয়স্ক ধরেই বিচার করা হবে। বৃহস্পতিবার জামিন পেল সেই অভিযুক্ত। তবে আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে ওই মামলার শুনানি শুরু হবে।
আজ থেকে পাঁচ বছর আগে ২০১৭ সালে গুরুগ্রামের (Gurugram) ওই ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। ঠিক কী ঘটেছিল? সাত বছরের এক শিশুর দেহ উদ্ধার হয় স্কুলের শৌচাগারে। তার গলা কেটে তাকে খুন করা হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে গুরুগ্রামের পুলিশ এক স্কুল বাসের কন্ডাক্টরকে গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু পরে তদন্তভার পায় সিবিআই। এরপরই তদন্তের মোড় ঘুরে যায়। মাসখানেকের মধ্যেই গ্রেপ্তার হয় ওই স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির কিশোর পড়ুয়া প্রদ্যুম্নকে। জানা যায়, পুলিশের জেরায় সে নিজের অপরাধ কবুল করেছে।
[আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের রায় শিরোধার্য, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বে আপাতত সহ-উপাচার্য]
যদিও প্রদ্যুম্নর বাবা দাবি করেন, জোর করে ওই স্বীকারোক্তি তাঁর ছেলের থেকে আদায় করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, প্রদ্যুম্নকে মাথা নিচে, পা ওপরে রেখে ঝুলিয়ে অকথ্য অত্যাচার করা হয়েছে। তবেই সে বাধ্যত ওই স্বীকারোক্তি করেছে। এরই পাশাপাশি মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধরা পড়ে অভিযুক্তর কোনও মানসিক সমস্যা হয়নি।
এরপর কেটে গিয়েছে পাঁচ বছর। এবার জামিন দেওয়া হল সেই অভিযুক্তকে। এর আগে গত ১৭ অক্টোবর জেজেবি নির্দেশ দিয়েছিল, অভিযুক্তকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে বিচারের সময়। গত জুলাইয়েই এক মনোবিজ্ঞানীর মতামত জানতে চেয়েছিল বোর্ড। অপরাধের সময় অভিযুক্তের মানসিকতা বোঝার জন্য়ই ওই মতামত চাওয়া হয়েছিল।