সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সম্পর্কিত বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন নিয়ে এবার উত্তাল দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। জেএনইউয়ের (JNU) পর জামিয়া কর্তৃপক্ষও ‘দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নামের ওই তথ্যচিত্রটির প্রদর্শন বন্ধ করার জন্য কড়া অবস্থান নিল। যার জেরে রীতিমতো হট্টগোল শুরু হয়ে গেল জামিয়া (Jamia University) ক্যাম্পাসে। এখনও পর্যন্ত হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে ১২ জন পড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
জেএনইউয়ের পর জামিয়াতেও এই বিতর্কিত তথ্যচিত্রটির প্রদর্শন নিয়ে অশান্তির সম্ভাবনা ছিলই। আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের বাইরে মোতায়েন ছিল দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) বিশাল বাহিনী। নামানো হয়েছিল RAF। সূত্রের খবর, এই ডকু ছবিটি দেখানোর আগেই বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে জমায়েত করছিল। পুলিশ গিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেয়। কয়েকজনকে আটক করা হয়। আটকদের অধিকাংশই SFI সদস্য বলে খবর।
[আরও পড়ুন: চিনের কাছে জমি হারাচ্ছে ভারত, লাদাখের বহু পেট্রোলিং পয়েন্ট হাতছাড়া! রিপোর্ট পুলিশকর্তার]
জামিয়া মিলিয়া কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, SFI ক্যাম্পাসের শান্তিভঙ্গ করার চেষ্টা করছে। খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমা আখতার দাবি করেছেন, SFI উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অশান্তি ছড়াচ্ছে। যেসব পড়ুয়া এর সঙ্গে যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: লখিমপুর খেরির মূল অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপুত্রের জামিন, উত্তরপ্রদেশ-দিল্লিতে থাকায় নিষেধাজ্ঞা]
এর আগে জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়েও (JNU University) এই তথ্যচিত্র দেখানো নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা সত্বেও মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় ক্যাম্পাসের অন্দরেই তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী শুরু হয়। সেখানেই জমায়েত হওয়া পড়ুয়াদের উপর পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির বিরুদ্ধে। এমনকী ক্যাম্পাসের মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে লোডশেডিং করিয়ে পড়ুয়াদের হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। লোডশেডিং হয়ে যাওয়ার পরে ফোনেই ছবি দেখা শুরু করেন পড়ুয়ারা। সেই সময়ও তাঁদের উপর পাথর নিয়ে হামলা হয় বলে জানা গিয়েছে। গভীর রাতে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে বসন্তকুঞ্জ থানার সামনে জড়ো হন পড়ুয়ারা। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। দীর্ঘক্ষণ পরে অভিযোগ দায়ের করেন পড়ুয়ারা। তবে দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযোগ দায়ের হলেও সেটা এফআইআর নয়। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।