সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: এনসিসি (ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস)-র ধাঁচে এবার 'পুলিশ স্টুডেন্ট ক্যাডেট' গড়ছে রাজ্য। রবিবার ১ সেপ্টেম্বর পুলিশ ডে-তে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে। তার পরেই ওই বাহিনীর জন্য নির্বাচিত পড়ুয়াদেরকে রাস্তায় নামিয়ে ট্রাফিক সচেতনতার কাজে নামায়। পুলিশের এই কাজের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষজনের সঙ্গে সম্পর্ক যেমন নিবিড় হবে।
তেমনই এই স্টুডেন্ট পুলিশ ক্যাডেটরা আত্মরক্ষার্থেও শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে মজবুত হবে। যা বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। এই সমস্ত কিছু মাথায় রেখেই পুরুলিয়া জেলা পুলিশ এই নয়া প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যা বাংলায় প্রথম বলে পুলিশের দাবি। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আপাতত আমরা পুরুলিয়া শহরের ১০০ জন কলেজ ও স্কুল পড়ুয়াকে নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এই কাজ শুরু করেছি। প্রথম দিনই সুফল মিলেছে। ছাত্রছাত্রীরা এই বিষয়ে উৎসাহী হলে আশা করছি এই কাজ খুব ভালোভাবেই রূপায়ণ করা যাবে।"
পুলিশ জ্যাকেট গায়ে দিয়ে ট্রাফিক সামলাচ্ছেন পুলিশ স্টুডেন্ট ক্যাডেটরা। ছবি: দীপক রাম
[আরও পড়ুন: বিচার প্রক্রিয়া যেন সংবেদনশীল হয়, ধর্ষণের মামলায় দ্রুত বিচারের দাবি রাষ্ট্রপতির]
কী এই 'পুলিশ স্টুডেন্ট ক্যাডেট'? এনসিসির মতই একটি বাহিনী তৈরি হবে। যারা রাস্তায় নেমে ট্রাফিক সচেতনতার পাশাপাশি দেশের আইন কানুন জেনে সাধারণ মানুষজনকে জানাবে। আইন- বিধি বিষয়ে সতর্ক ও সচেতন করবে। পুলিশে যেমন শৃঙ্খলা রয়েছে। তেমনই ছাত্র-ছাত্রীরাও শৃঙ্খলা পরায়ন। তাই রাস্তায় নেমে পুলিশের কাজ জেনে সাধারণ মানুষজনদেরকে এই বাহিনী জানাবে কতটা দায়িত্ব, কর্তব্য নিয়ে পুলিশ সমাজে কাজ করে থাকে। ট্রাফিক সচেতনতার সম্পূর্ণ পাঠ নেওয়ার পর ছাত্রছাত্রীরা পথে নেমে সঠিক প্রয়োগ করার পরেই বাল্যবিবাহ থেকে কুসংস্কার রোখা, সমাজে পরিবেশবান্ধব বার্তা দেওয়া-সহ নানা সেবার কাজ করবে এই 'পুলিশ স্টুডেন্ট ক্যাডেট'।
সর্বোপরি এই কাজের মধ্য দিয়ে পুলিশ জনসংযোগকেই আরও মজবুত করতে চাইছে। ১০০ জনের এই 'পুলিশ স্টুডেন্ট ক্যাডেট'-এ শহর পুরুলিয়ার নিস্তারিণী মহিলা মহাবিদ্যালয় ছাড়াও দুটি স্কুলের পড়ুয়ারা রয়েছে। নিস্তারিণী মহিলা মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রী উমা মণ্ডল বলেন, " পুলিশের এই কাজে আমরা ভীষণভাবেই উৎসাহী। আমরা পুলিশ ক্যাডেট বাহিনীর সদস্য হয়ে নানা সেবামূলক কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত করতে চাই।"