অর্ণব দাস, বারাসত: দেরিতে আসায় স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আর তাই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি স্কুলের গেট ভাঙার চেষ্টা করল ‘ক্ষুব্ধ’ পড়ুয়ারা। বুধবার দেগঙ্গার চৌরাশি হাই স্কুলের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরে দেগঙ্গা থানার পুলিশ, স্কুল কর্তৃপক্ষ-সহ প্রাক্তন ছাত্রদের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয় এবং স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই স্কুলে আসার কথা জানিয়েছিলেন দেগঙ্গার চৌরাশি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তবুও বুধবার কয়েকজন ছাত্র নির্দিষ্ট সময়ের পরে স্কুলে আসায় নিয়মানুবর্তিতা শেখাতে তাদের স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ওই ছাত্রদের অভিভাবকদের পর দিন স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়। এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ছাত্ররা। তারা স্কুলের সামনে জীবনপুর-বাগজোলা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা কেউ কেউ ইট ছুড়ে গেট ভাঙার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ।
[আরও পড়ুয়া: অতিবৃষ্টিতে বানভাসি একাধিক জেলা, মোকাবিলায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি মুখ্যমন্ত্রীর]
এক বিক্ষুব্ধ ছাত্রের দাবি, বৃষ্টির জন্য এদিন স্কুলে আসতে দেরি হয়েছিল। তাও তাদের স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অথচ প্রধান শিক্ষক নিজে দেরিতে এসে স্কুলে ঢুকে গিয়েছিলেন। এই নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে খবর দেওয়া হয় দেগঙ্গা থানায়। এরপর পুলিশ, শিক্ষক এবং প্রাক্তন ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের আশ্বস্ত করলে তারা স্কুলমুখী হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাহারিয়া ইসলাম বলেন, “ছাত্ররা আমাদের কাছে সন্তানতুল্য। ওরা কোনও ভুল করলে,সেটা বোঝানোর দায়িত্ব আমাদের। এদিন আমরাই বুঝিয়ে ছাত্রদের ক্লাসমুখী করেছি। সমস্যা মিটে গিয়েছে।”