নন্দন দত্ত, সিউড়ি: শান্তিনিকেতনে অশান্তি! বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাসভবনের সামনে নিরাপত্তারক্ষী, রাজ্য পুলিশ ও পড়ুয়াদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। অভিযোগ, উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভরত আন্দোলনকারীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। পড়ুয়াদের স্লোগান, ধ্বস্তাধ্বস্তির মধ্যেই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বাসভবন ছেড়ে বেরিয়ে যান। তবে বিশ্বভারতীতে ঢোকার আগে ফের বাঁধার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। সেন্ট্রাল গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে পড়ুয়ারা। ফলে মূল ফটকের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দেড়শো অধ্যাপক-সহ উপাচার্যকে। পরে কাজ সেরে ক্যাম্পাস থেকে বেরনোর সময় ফের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করা হয়। সেইসময় মেজাজ হারান অধ্যক্ষ। পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।
গত ২১ দিন ধের গৃহবন্দি বিশ্বভারতীর উপাচার্য। তাঁর বাসভবন পূরবীর সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, স্বৈরাচারী উপাচার্য পদত্যাগ করুন। এদিন বেলা ১২টা নাগাদ বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বাসভবন থেকে বেরনোর চেষ্টা করতেই বিপত্তি বাঁধে। তাঁকে ঘিরে স্লোগান দিতে শুরু করে আন্দোলনকারীরা। উপাচার্যের পথ আটকানোর চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় নিরাপত্তারক্ষী, রাজ্য পুলিশ ও পড়ুয়াদের মধ্য়ে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘CBI-এর শাস্তি চাই’, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের লালনের পরিবারের]
উপাচার্য বাসভবন থেকে বেরিয়ে সেন্ট্রাল গেটের দিকে গেলে সেখানেও তাঁকে বাঁধার মুখে পড়তে হয়। গেটে তালা ঝুলিয়ে পড়ুয়ারা স্লোগান দিতে থাকে। এদিন উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন দেড়শো অধ্যাপকও। তাঁরা প্রায় একঘণ্টা গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে। গেটের তালা ভাঙার চেষ্টা করছে নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু গেটের পাশে থাকা পিলারের অবস্থা এতটাই খারাপ যে তালা ভাঙতে গেলে পিলার ভেঙে যেতে পারে। সবমিলিয়ে বিশ্বভারতীতে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে সরব পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, উপাচার্যের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। দিন কয়েক আগে তাঁরা উপাচার্যের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা করতে গিয়েছিল। তখন নাকি তাদের গুলি করে মারার নিদান দিয়েছিলেন উপাচার্য।