shono
Advertisement

তিন বছর পরে জেলায় সভা সুব্রত বক্সীর, চড়া সুরে বিঁধলেন দলবদলুদের

দুয়ারে লোকসভা নির্বাচন।ভোটকে সামনে রেখে আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই মহাসভাকে সামনে রেখে ৩ বছর পর জেলায় সুব্রত বক্সী।
Posted: 09:02 PM Mar 01, 2024Updated: 09:35 PM Mar 01, 2024

সৈকত মাইতি, তমলুক: দুয়ারে লোকসভা নির্বাচন। সব কিছু ঠিক থাকলে এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহেই ভোট। আর গণতন্ত্রের বৃহত্তম উৎসবকে সামনে রেখেই আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধান বক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভার আগে তিনি কী সুর বেঁধে দেন সেই দিকে তাকিয়ে কর্মী-সমর্থকেরা। এই প্রেক্ষাপটে তিন বছর পরে জেলায় সভা করলেন সুব্রত বক্সী। চড়া সুরে বিঁধলেন দলবদলুদের।

Advertisement

সভার প্রস্তুতি হিসাবে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে প্রচার ও সভা। তাতে যোগ দিচ্ছেন জেলা ও রাজ্য স্তরের নেতারা। শুক্রবার তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধের মাঠে ব্রিগেড চলো ডাক দেওয়ার প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। প্রায় ৩ বছর পরে ব্রিগেডকে সামনে রেখে জেলায় সভা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি। সভা থেকে দলবদলুদের কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান তিনি।

দীর্ঘ দিন পরে জেলার কোনও সভায় উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে যারা ভোটে জিতে অন্য দলে চলে গিয়েছেন, তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার সময় এসেছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে দলের সেই সকল গদ্দারদের বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করে আমাদের সেই বার্তাই দিতে হবে।

[আরও পড়ুন: ‘টিকিট পেলেও জিতব কি না জানি না’, সংশয় প্রকাশ সৌগতর, কী প্রতিক্রিয়া বিজেপির?]

প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী সহ তাঁর অনুগামীরা দলত্যাগ করেন গত বিধানসভা ভোটে। এ ছাড়াও অধিকারী পরিবারের কর্তা শিশির অধিকারী ও তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী দলে থাকলেও বিরূপভাব পোষণ করেন বলে দাবি তৃণমূলের।

কার্যত তাঁদের সবাইকে নিশানা করে সুব্রত বক্সী বলেন,”আগে একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটে জিতে অন্য দলে চলে গিয়েছেন। দলের সঙ্গে যারা প্রতারণা করেছেন তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। ব্রিগেডের মাঠের গর্জন থেকেই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার ডাক উঠবে। দেশের নেতৃত্ব দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই প্রার্থী রোগা হোক বা মোটা, খোড়া হোক কিংবা বোবা। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী। তাঁকে জেতানোর দায়িত্ব আপনাদের সকলকেই নিতে হবে।” এ দিনের সভা থেকে বাংলার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ‘বঞ্চনা’ নিয়েও সরব হয়েছেন।

[আরও পড়ুন: সন্দেশখালির মহিলাদের দুর্দশায় কাঁদছে রামমোহনের আত্মা, আরামবাগ থেকে তোপ মোদির]

১০০ দিনের কাজে রাজ্য সরকার শ্রমিকদের টাকা দিচ্ছে তা জানিয়ে বক্সী বলেন, “১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও বাংলার শ্রমিকদের টাকা ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো টাকা ফেরতের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তাই সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে লড়াই করে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে”।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার