রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: নন্দীগ্রাম (Nandigram) দিবসে পূর্ব মেদিনীপুরের কলেজ মাঠের সভা থেকে বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন সুব্রত বক্সি। অভিযোগ করলেন, পরিকল্পনামাফির মুখ্যমন্ত্রীর নামে কুৎসা রটাচ্ছে কেন্দ্র। নাম না করে বিঁধলেন নন্দীগ্রাম আন্দোলেন প্রথম সারির নেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। হুঙ্কার ছেড়ে দাবি করলেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলন শুধু জনতা আর মমতার।
বুধবার মধ্যরাতেই নন্দীগ্রামে শহিদবেদিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার ভোরে তৃণমূলের তরফে শহিদবেদিতে মাল্যদান করলেন সুব্রত বক্সি (Subrata Bakshi)। এরপর কলেজ মাঠে সভায় যোগ দেন তিনি। সেখান থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মকাণ্ড আরও একবার সকলের সামনে তুলে ধরেন। সুব্রতবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ক্ষমতায় আসার পর মাওবাদী হামলায় কোনও প্রাণহানি হয়নি। বাংলা সন্ত্রাসমুক্ত হয়েছে। ২৯ টি প্রকল্পের মাধ্যমে মমতা পঞ্চায়েতের লড়াই করেছেন।” বিজেপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “বাংলার মাটিতে উন্নয়ন প্রতিহত করতে দিল্লি থেকে কুৎসা, অপপ্রচারের মাধ্যমে মমতাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম একদিকে সংবিধান রক্ষার লড়াই, অন্যদিকে সংবিধান নষ্ট করার লড়াই চলছে। দিল্লির মসনদে পৌঁছবেন মমতা। দিল্লির মসনদ থেকে ওই সংবিধান বিরোধী দলকে হটাতে হবেই।”
[আরও পড়ুন: কাঁথি পুরসভায় প্রশাসক বদলের বিজ্ঞপ্তিতে এখনই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ নয়, জানাল হাই কোর্ট]
এরপরই নন্দীগ্রাম আন্দোলন প্রসঙ্গে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে বিঁধে তৃণমূল সাংসদ (MP) বলেন, “নন্দীগ্রামের আন্দোলন নন্দীগ্রামের মানুষের। আর এই আন্দোলনের একজনেরই, নেত্রীর। তিনি হলেন মমতা। কেউ কেউ দাবি করেন এই আন্দোলন তার ব্যক্তিগত।” শুভেন্দু-সহ অন্যান্যদের দলত্যাগ তৃণমূলে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেই এদিন ফের বুঝিয়ে দেন তৃণমূল সাংসদ। বলেন, “গাছের দুটো পাতা ঝরলে গাছের ওজন কমে না, একথা মনে রাখা দরকার। তৃণমূল কোনও হেলিকপ্টারে এসে পড়েনি, ভুঁইফোড়ও নয়।”