সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহাষষ্ঠীতে সল্টলেকে ইজেডসিসির পুজো ভারচুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বাঙালির মন জিততে বাংলা ভাষায় বক্তৃতাও দেন তিনি। আর তাই এই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর আলোচনা। বিরোধীদের দাবি, বাঙালি আবেগ উসকে ভোট জয়ের চেষ্টা করছেন মোদি। তবে গেরুয়া শিবির এই তত্বের প্রতিবাদে সুর চড়িয়েছে। যে বা যাঁরা মোদির বক্তব্য নিয়ে আলোচনা করছেন তাঁদের মানসিকতা সংকীর্ণ বলেই দাবি বিজেপির।
মা দুর্গা বছরে একবার মর্ত্যে আসেন। উমাকে ঘরের মেয়ে হিসাবেই দেখা হয়। সে প্রসঙ্গ নিজের বক্তৃতায় টানেন প্রধানমন্ত্রী। নারীশক্তির আরাধনার দিনে নারী সুরক্ষার কথাও বলেন তিনি। বলেন, “উমা এলো ঘরে। বাংলার এই সনাতন পরম্পরা রয়েছে। প্রতিটি নারীকে মায়ের মতো শ্রদ্ধা জানাতে হবে। নারীদের প্রতি নির্যাতন রুখতে এদেশে এখন কড়া আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। মহিলাদের সুরক্ষার জন্য এই সরকার যথেষ্ট তৎপর।” তাঁর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই বিরোধিতার সুর চড়িয়েছে শাসকদল। সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee) পালটা কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, “উত্তরপ্রদেশে প্রতিদিন নারীরা ধর্ষিত ও অসম্মানিত হচ্ছেন। যেখানে যেখানে ওদের সরকার, সেখানে নারীরা প্রতিনিয়ত অসম্মানিত হচ্ছে। কথাই হচ্ছে কাজে কিছু হচ্ছে না।” দুর্গাপুজোর উদ্বোধনী বক্তব্যকে ভাল চোখে দেখছে সিপিএম নেতৃত্বও। শারদোৎসবের ঐতিহ্যকে মোদি ম্লান করছেন বলেই দাবি সুজন চক্রবর্তীর। নির্বাচনের আগে মোদি বেশ খানিকটা ভয়ে পেয়ে গিয়েই বাঙালি আবেগ উসকাতে চাইছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলা ভাষা এত মিষ্টি বলার লোভ সামলাতে পারলাম না’, বাঙালি আবেগ উসকে বার্তা মোদির]
তবে বিরোধীদের জবাব দিতে সুর চড়িয়েছেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। এদিন বিরোধীদের কার্যত একহাত নেন তিনি। আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বলেন, “দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে আগে কোনও প্রধানমন্ত্রী এভাবে বক্তৃতা দেননি। তাই এটা সকলের কাছে বড় উপহার। তাই তাঁর বার্তার সমালোচনা করা সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয়।”