shono
Advertisement

৫ হাজার টাকা থেকে ৪৩ হাজার কোটি! শেয়ার বাজারে ঝুনঝুনওয়ালার উড়ান যেন রূপকথা

রবিবার মাত্র ৬২ বছর বয়সেই প্রয়াত শেয়ার বাজারের 'বিগ বুল'।
Posted: 12:01 PM Aug 14, 2022Updated: 01:42 PM Aug 14, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত রবিবারই শুরু হয়েছিল তাঁর স্বপ্নের বিমান সংস্থার উড়ান। মাত্র ৭ দিনের মধ্যেই আরেক রবিবারে মিলল তাঁর প্রয়াণ সংবাদ। ৬২ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন ধনকুবের রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা (Rakesh Jhunjhunwala)। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেই টুইটে রাকেশকে ‘জীবননিষ্ঠ, সুরসিক ও অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। ৬২ বছরের রাকেশের উত্থান সত্য়িই যেন রূপকথা। যা আগামী দিনে অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

Advertisement

রাকেশের দালাল স্ট্রিটে যাত্রা শুরু ১৯৮৫ সালে, মাত্র ৫ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে। ফোর্বসের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, এই মুহূর্তে তাঁর সম্পত্তির মোট পরিমাণ প্রায় ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় অঙ্কে তা দাঁড়ায় ৪৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এই সাফল্য একদিনে আসেনি। দিনে দিনে তিনি হয়ে উঠেছেন দেশের অন্যতম ধনকুবের।

[আরও পড়ুন: একই বোতল থেকে জল খাওয়ার অপরাধ! রাজস্থানে দলিত ছাত্রকে পিটিয়ে মারল শিক্ষক]

১৯৮৬ সালে টাটা টি’র শেয়ার থেকে বিপুল লাভ করেছিলেন রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা। ৪৩ টাকায় ৫ হাজারটি শেয়ার কিনেছিলেন তিনি। তিন মাসের মধ্যেই তার দাম পৌঁছয় ১৪৩ টাকায়। এক ধাক্কায় প্রায় তিন গুণ লাভ করেন রাকেশ। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা। গত শতকের আটের দশকে ওই টাকার ‘মূল্য’ আজকের দিনের হিসেবে কোটি কোটি টাকা। এরপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।

তাঁর জীবনের আরেক গুরুত্বপূর্ণ বছর ২০০৩ সাল। টাইটান কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার থেকে বিপুল লাভ করেন তিনি। ২০০৬ সালে লুপিন সংস্থার শেয়ার থেকেও বিপুল লাভ করেন রাকেশ। এই ভাবে ক্রমেই দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাকেশের পদক্ষেপে সম্পত্তির পরিমাণ বাড়তে থাকে তাঁর। তিনি বিশ্বাস করতেন, জীবনে ঝুঁকি নেওয়াটাও একটা পদক্ষেপ। তবে তা ভেবেচিন্তেই করা উচিত।

[আরও পড়ুন: চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে নিজাম প্যালেসে গেল আলুপোস্ত-মাছের ঝোল, চেটেপুটে খেলেন কেষ্ট]

উল্লেখ্য হিন্দি ছবির প্রযোজনাও করেছেন তিনি। তাঁর প্রযোজিত উল্লেখযোগ্য ছবি হল ‘ইংলিশ-ভিংলিশ’, ‘শমিতাভ’, ‘কি অ্যান্ড কা’ প্রমুখ। এছাড়াও স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। অর্থাৎ কোনও সম্ভাবনাকেই ছেড়ে দিতে রাজি ছিলেন না তিনি। আর তার ফলেই এসেছে চোখ ধাঁধানো সাফল্য।

গত ৭ আগস্ট যাত্রা শুরু করেছে তাঁর এয়ারলাইন্স ‘আকাশ এয়ার’ (Akasa Air)। এই সংস্থা নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল রাকেশের। আগামী ৪ বছরের মধ্যে ৭০টি বিমানের উড়ানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এবং অন্য সংস্থাগুলির থেকে অপেক্ষাকৃত সস্তায় পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করেই এগতে চেয়েছিলেন। তাঁর উত্তরাধিকারীরা সেই স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। কিন্তু তা দেখার জন্য রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা রইলেন না। রবিবারের সকাল থামিয়ে দিয়েছে তাঁর স্বপ্নের উড়ান। তবু তাঁর সাফল্যের কীর্তি আগামিদিনে অন্যদের দিশা দেখাবে। বিশ্বাস করতে শেখাবে, সামান্য পুঁজি সঙ্গে নিয়েই আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখা যায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement