সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত আফগানিস্তান (Afghanistan)। এবার ফিদায়েঁ হামলায় যুদ্ধজর্জর দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২১ জন।
[আরও পড়ুন: করোনা সংকটে ভারতের পাশে থাকার বার্তা, তেরঙ্গায় সাজল নায়াগ্রা জলপ্রপাত]
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে পূর্ব আফগানিস্তানের লোগার প্রদেশের রাজধানী পুল-এ-আলম শহরে বিস্ফোরক ভরতি ট্রাক নিয়ে একটি অতিথিশালায় হামলা চালায় এক সন্ত্রাসবাদী। ওই হামলায় এপর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে একুশ জনের। আহত অনেকেই। এখনও পর্যন্ত ওই ঘটনার দায় কেউ স্বীকার না করলেও এর নেপথ্যে তালিবানের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক। স্থানীয় প্রশাসনের কর্তা হাসিব স্তানিকজাই জানান, ঘটনার সময় ওই অতিথিশালায় পুলিশকর্মীরা ছিলেন। মূলত তাঁদেরই নিশানা করেছে জঙ্গিরা। এই হামলার পর গোটা এলাকায় সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান শুরু করেছে আফগান সেনা ও পুলিশবাহিনী।
উল্লেখ্য, শনিবার অর্থাৎ ১ মে আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করে আমেরিকা। ২০২০ সালে প্রায় দুই দশক ধরে পাহাড়ি দেশটিতে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজ করছে মার্কিন ফৌজ। আরও সহজ করে বলতে গেলে, কাবুলকে তালিবানের হাতে যাওয়ার থেকে বাঁচিয়ে এসেছে আমেরিকার সৈনিকরা। কিন্তু অভ্যন্তরীণ চাপ ও ২০২০ সালে কাতারের রাজধানী দোহায় তালিবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করার পর আফগানিস্তান থেকে ফৌজ সরাতে রাজি হয় আমেরিকা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেছেন যে চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে। সেইমতো আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই প্রক্রিয়া শুরু হল। কিন্তু ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো বিপাকে পড়েছে কাবুলের গণতান্ত্রিক সরকার। কারণ, মার্কিন ফৌজ সরে গেলে তালিবানকে রোখার মতো আর কোনও শক্তি সেই দেশে নেই। ফলে জঙ্গিগোষ্ঠীটি ফের শরিয়ত আইন লাগু করার উদ্দেশ্যে দেশ দখল করবে বলে আশঙ্কা বাড়ছে।