রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে ধূপগুড়ি হাতছাড়া হলে দিল্লির তোপের মুখে পড়তে হতে পারে রাজ্য বিজেপি নেতাদের। চাপের মুখে পড়তে পারেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সংগঠন সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীরা। তাই ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের প্রচারে এক সপ্তাহ ধরে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন সুকান্ত। টানা ১৫ দিন রয়েছেন অমিতাভ চক্রবর্তী। অথচ মাত্র দু’দিন সেখানে প্রচার করে এসেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ধূপগুড়ি হাতছাড়া হলে দিল্লির চাপ বাড়বে সুকান্ত শিবিরের উপর। আর সেটাকে হাতিয়ার করে দিল্লির নেতাদের কাছে পয়েন্ট বাড়িয়ে নিতে পারে শুভেন্দু শিবির। কারণ, সুকান্ত বঙ্গ বিজেপির সভাপতি হওয়ার পর কোনও উপনির্বাচনেই জয় পায়নি দল। দিল্লির কাছে মুখ রক্ষায় ধূপগুড়িতে জয় ধরে রাখাটাই এখন চ্যালেঞ্জ সুকান্ত-অমিতাভদের কাছে। ধূপগুড়ি হাতছাড়া হলে দলে বিরোধী শিবির সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে।
[আরও পড়ুন: না জানিয়ে ট্রাক্টর বিক্রি করে দেওয়ায় অশান্তি! রাস্তায় শ্বশুরকে গুলি ঘরজামাইয়ের]
উল্লেখ্য, সুকান্ত ও শুভেন্দু শিবিরে দল বর্তমানে কার্যত বিভক্ত। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনেই কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছিলেন দু’জনে। আবার ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে দু’দিন একই বিধানসভা এলাকায় প্রচার করলেও যৌথভাবে কোনও সভা-মিছিলে দেখা যায়নি সুকান্ত ও শুভেন্দুকে। কেউ কারও মুখোমুখি হননি। দলীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপিতে রাজ্য সভাপতি বদল নিয়েও তুমুল চর্চা শুরু হয়েছিল। কেন্দ্রীয় নেতাদের একাংশ চাইলেও, আরএসএসের প্রবল আপত্তিতেই শুভেন্দুর রাজ্য সভাপতি হওয়া আটকে গিয়েছে। ফলে ধূপগুড়িতে খারাপ ফল হলে ফের রাজ্য সভাপতির দাবি তুলে মাঠে নামতে পারে শুভেন্দু শিবির।
এক রাজ্য নেতার কথায়, ধূপগুড়ির ভোটে আমাদের নিজেদের কোন্দল সামলানোই বড় লড়াই। এদিকে, ধূপগুড়িতে প্রচারে ব্রাত্য রেখে দেওয়া হল বিজেপি সাংসদ অনন্ত মহারাজকে। তারকা প্রচারকদের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও রাজবংশী ভোটে থাবা বসাতে প্রচারে ব্যবহারই করা হল না অনন্ত মহারাজকে। যা নিয়ে গেরুয়া শিবিরে প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, ‘পৃথক কোচবিহার’ নিয়ে মহারাজের অবস্থানে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।