সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ২০২৪ লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে ৩৫ আসনে জেতার টার্গেট দিয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। বলেছেন, লোকসভায় ৩৫ আসন পেলেই রাজ্য়ের সরকার পরিবর্তন হবে। এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র দেখছে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের সেই সন্দেহে কার্যত সিলমোহর দিলেন রাজ্য় বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সোমবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পাথরপ্রতিমায় সুকান্ত বলেন, “জেনে রাখবেন, অমিত শাহজি যখন কিছু বলেন, তাঁর সেই বক্তব্যে সুচিন্তিত কোনও প্ল্যানিং থাকে। সেই প্ল্যানিংই আছে। গতবারও ২১টি সিট বিজেপি পাবে বলে অমিত শাহ বলেছিলেন। আমরা ১৮টি সিট পেয়েছিলাম। দু-তিনটি সিট খুব অল্প মার্জিনে হেরেছিলাম। অপেক্ষা করুন, দেখতে থাকুন, ক্রমশ প্রকাশ্য।” তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, “এমন কোনও বিধায়ক নেই, যাঁরা মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে চাকরিতে নিয়োগের তালিকা দেননি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিধায়করাও নিয়োগের তালিকা দিয়েছেন। আমাদের কাছে তথ্য আছে বলেই আমরা জানি, মুখ্যমন্ত্রীই বিধায়কদের বলেছিলেন, তাঁরা যেন তাঁদের কোটায় চাকরি প্রার্থীদের নাম দেন। সেই অনুসারেই তিনি চাকরি দিয়েছেন।”
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপীতে ওজুর ব্যবস্থা করুন! রমজান মাসে বারাণসীর জেলাশাসককে সুপ্রিম নির্দেশ]
প্রসঙ্গত, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ৩৫ আসনে জেতার টার্গেট দিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এনিয়ে কার্যত গর্জে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, “১৪ এপ্রিল সিউড়িতে জনসভা করতে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। তিনি তাঁর দলের হয়ে প্রচার করতেই পারেন, ভাষণ দিতেই পারেন। কিন্তু একথা তিনি কোন আইন মেনে বললেন যে বাংলা থেকে বিজেপি ৩৫ আসনে জিতলে আর অপেক্ষা করতে হবে না, তারপরই তৃণমূল সরকারের পতন ঘটবে? দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ করে তিনি একথা বলতে পারেন না। দেশরক্ষার বদলে একটা নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করছেন! এত ঔদ্ধত্য! আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছি।”