সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের আকস্মিক গ্রেপ্তারিতে অনেকেই বিস্মিত। এমনকী বিস্মিত তাঁর আইনজীবীরাও। আসলে সুকন্যা যে বুধবার হঠাৎ করে ইডি দপ্তরে হাজিরা দিতে যাবেন, সেটা নাকি তাঁর আইনজীবীরাও জানতেন না। সূত্রের খবর, অনুব্রতকন্যা গত তিনদিন নিজের আইনজীবীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেননি।
আসলে গরু পাচার মামলায় দীর্ঘদিন ধরেই ইডির (ED) র্যাডারে ছিলেন সুকন্যা। আর আগে বার তিনেক ইডির তলব এড়িয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বুধবার কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই তিনি হঠাৎ কেন হাজির হলেন? সেটা বোধগম্য হচ্ছে না তাঁর আইনজীবীদেরও। ঘনিষ্ঠ মহলে অনুব্রত কন্যার দুই আইনজীবী মুদিত জৈন (Mudit Jain) এবং সম্পৃক্তা ঘোষাল জানিয়েছেন, গত তিনদিন ধরে সুকন্যার সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ নেই তাঁদের। তিনি যে দিল্লিতে এসে ইডির দপ্তরে হাজিরা দেবেন, সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ২০১৪ টেটে কারা চাকরি পেয়েছেন? পর্ষদের কাছে বিস্তারিত তথ্য চাইল CBI]
ঘনিষ্ঠ মহলে আইনজীবীরা আক্ষেপ করেছেন, সুকন্যা (Sukanya Mandal) হাজিরার আগে যোগাযোগ না করায় ‘কোনওরকম প্ল্যান অফ অ্যাকশন’ তৈরি করা যায়নি। ইডির আধিকারিকদের প্রশ্নের জবাবে তাঁকে কী বলতে হবে, কী কী নথি দেখাতে হবে, এসব নিয়ে কোনওরকম আলোচনাই তিনি করেননি। যার ফলে অনুব্রতকন্যাকে বাগে আনতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি ইডির দুঁদে আধিকারিকদের।
[আরও পড়ুন: মহাত্মা গান্ধীর স্বপ্নের পঞ্চায়েত গড়াই লক্ষ্য! জনসংযোগ যাত্রায় বললেন অভিষেক]
আইনজীবীরা মনে করছেন, কোনওরকম প্রস্তুতি ছাড়াই ইডির কাছে হাজিরা দিয়ে সুকন্যা যেমন নিজেকে বিপদে ফেললেন, তেমনি আইনজীবীদেরও প্যাঁচে ফেলে দিলেন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পেশ করা হবে সুকন্যাকে। ইডি তাঁকে ১৪ দিনের হেফাজতে চাইবে।
হঠাৎ সুকন্যার গ্রেপ্তারি নিয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূলও। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, “আইন আইনের পথে চলুক। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য হল, তিন মাস আগে সুকন্যার মা মারা গিয়েছে। ওঁর বাবা জেলে। এই গ্রেপ্তারির কি ভীষণ দরকার ছিল? বিষয়টা আরও মানবিক দিক থেকে ভাবা যেত না কি?”