সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : শীতকাল এসে গিয়েছে। পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়ে গিয়েছে। সুন্দরবনে এখন ভরা পর্যটনের মরশুম। ডিসেম্বর মানেই পশ্চিমবঙ্গের এই অংশে পর্যটকরা ভিড় করে। কিন্তু মাসের শুরুতেই বাধা। শুরু হয়েছে পর্যটক গাইডদের বিক্ষোভ। আর তাই নিয়ে রীতিমতো চাপানউতোর। পুরনো গাইডরা সেভাবে কাজ পাচ্ছে না। এদিকে নতুন করে গাইড নিয়োগ করা হচ্ছে। সেই অভিযোগ তুলে এবার বিক্ষোভে নামলেন তাঁরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে গাইডদের এই বিক্ষোভের নেপথ্যে কারণটা ঠিক কী? জানা গিয়েছে, পুরনো গাইডদের কাজ সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে নতুন গাইড নিয়োগ করা হচ্ছে। ফলে কাজ নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে কাজ কীভাবে পাওয়া যাবে? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সজনেখালিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। নতুন করে গাইড নিয়োগের বিরোধিতা করে আন্দোলন শুরু করলেন সুন্দরবনের গাইডরা।
এদিন আন্দোলনে শামিল হয়েছেন জনা পঞ্চাশেক গাইড। নদীর পাড়ে বসেই তাঁরা বিক্ষোভ করেন। কোনওভাবেই কাজকর্ম হচ্ছে না। দাবি উঠেছে, তাঁদের কাজের বিষয়টি নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শীতের শুরুতেই সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য বহু পর্যটক গিয়েছেন। কিন্তু গাইড না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে পর্যটকদের কোনও লঞ্চ, বোটে উঠছেন না গাইডরা। সজনেখালি পর্যটন কেন্দ্রেও চলছে বিক্ষোভ।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, সারা বছর ধরেই তাঁরা সেভাবে কাজ পান না। দিনে পাঁচ, সাত জন করে কাজ পান। এই পর্যটন মরশুমেও সেভাবে কাজ মিলছে না। এদিকে, বনদপ্তর নতুন করে শতাধিক গাইড নিয়োগ করছে। আগে শুধু সজনেখালি পয়েন্ট থেকেই সুন্দরবন ভ্রমণের এন্ট্রি হত। ফলে এখান থেকেই পর্যটকদের সঙ্গে গাইডও রওনা দিতে পারতেন। কিন্তু এখন অন্যান্য অনেক জায়গা থেকেই গাইডরা পর্যটকদের সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে। ফলে এই সজনেখালির গাইডরা কাজ হারাচ্ছেন। সেই কারণেই এই বিক্ষোভ। তাঁদের দাবি, কাজ নিশ্চিত করে নতুন গাইড নিয়োগ হোক। এই ঘটনার জেরে এদিন অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে সুন্দরবন পর্যটনে। রীতিমতো টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। অচলাবস্থা কি আরও বাড়বে ভরা পর্যটন মরশুমে? প্রশ্ন থাকছেই।