সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাজারে টমেটো কিনতে গিয়ে মধ্যবিত্তদের পকেটে ছ্যাঁকা। হু হু করে দাম বেড়ে চলেছে। পকেট থেকে টাকা বের করতে গিয়ে যেমন কপালের ঘাম মুছতে হচ্ছে বাড়ির কর্তাদের, তেমনি হেঁশেলে মন খারাপ গিন্নিদের। রকমারি পদ থেকে প্রায় টমেটোর ব্যবহার বন্ধ হয়েছে। এবার আমজনতার সুর বলিউড সুপারস্টার সুনীল শেট্টির গলাতেও।
টমেটোর আকাশছোঁয়া দামের জেরে মধ্যবিত্তদের মতো নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে অভিনেতাকেও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজেই সেই দুঃখের কথা জানিয়েছেন সুনীল শেট্টি। বাড়ির হেঁশেলের পাশাপাশি নিজের রেস্তরাঁ নিয়েও কপালে ভাজ পড়েছে অভিনেতার। কারণ টমেটোর দাম বাড়ায় হোটেলের রকমারি পদের স্বাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে হচ্ছে তাঁকে।
নিজের খান্ডালার ফার্মহাউজে বিভিন্ন রকমের ফল, শাক-সবজি চাষ করেন সুনীল। অন্যান্য অভিনেতাদের মতো সিনেমার প্রচারে তিনিও পরিবেশবান্ধব সচেতনতাবার্তা শোনা যায় তাঁর মুখে। আসলে সাদামাটা জীবনযাপনেই বিশ্বাসী তিনি। তরতাজা শাকসবজি খাওয়ার চলই রয়েছে সুনীল শেট্টির পরিবারে।
[আরও পড়ুন: পাসপোর্ট না নিয়েই বিমানবন্দরে, মৌনী রায়কে আটকাল CISF নিরাপত্তারক্ষীরা, তারপর?]
তবে টমেটোর দাম যে হারে বেড়েছে তাতে চিন্তার ভাঁজ অভিনেতার পরিবারেও। এপ্রসঙ্গে সুনীল শেট্টি জানান, “আমার স্ত্রী মানা সপ্তাহে ১-২ দিন শাক-সবজির বাজার করে। আমরা আসলে ফার্মের খাঁটি তরি-তরকারি খেতে অভ্যস্ত। তবে বতর্মানে টমেটোর আকাশছোঁয়া দামের প্রভাব পড়েছে আমাদের হেঁশেলেও। আজকাল খুব কম টমেটো খাচ্ছি। অনেকে মনে করতে পারেন যে, আমি তো সুপারস্টার। এসব আবার আমার ওপর প্রভাব ফেলে নাকি! তবে এটা সত্যি নয়। আমাদেরও এই ক্রাইসিসের সঙ্গে যুঝে চলতে হয়।”
মুম্বইটয়ের জনপ্রিয় রেস্তরাঁর মালিক সুনীল শেট্টি বলেন, “একটা অ্যাপের মাধ্যমে সবজি আনাই আমরা। সেখানে শাকসবজির দাম দেখলে অবাক হয়ে যাবেন। বাজারের দোকানের থেকে কম দাম ওখানে। তবে দাম কম বলে ওই অ্যাপ থেকে কিনি না। আসলে ওরা তরতাজা সবজি দেয়, তাই কিনি। সেইসঙ্গে ওরা এটাও বলে দেয় যে, কোন সবজির ফলন কোথায় হয়েছে, আর কৃষকরা তার থেকে কতটা লাভবান হয়েছেন। আমজনতারা যা খোঁজ রাখেন, কখনও কখনও তাঁদের থেকে বেশি খোঁজ রাখি আমরা। আসলে আমার রেস্তরাঁ রয়েছে। তাই দরদাম তো করবই কেনার সময়ে। তবে টমেটোর দাম বাড়া আর পাঁচজনের মতো আমাকেও চিন্তায় ফেলেছে।”