সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও মহাকাশে আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামস ও তাঁর সঙ্গী নভশ্চর বুচ উইলমোর। দুমাসেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রয়েছেন দুজন। কবে তাঁরা পৃথিবীতে ফিরবেন তা নিয়ে নানা আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু এবার জানা যাচ্ছে, সুনীতাদের ফিরতে ফিরতে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি হয়ে যাবে!
প্রসঙ্গত, গত ৭ জুন মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা ও বুচ। প্রথমে জানা গিয়েছিল, ২৬ জুন তাঁরা ফিরবেন। কিন্তু তার পর জানা যায়, আপাতত তাঁদের ফেরা সম্ভব নয়। ত্রুটি ধরা পড়েছে তাঁদের মহাকাশযানে। সম্প্রতি নাসার (NASA) তরফে দেওয়া তথ্যে বলা হয়, বোয়িং স্টারলাইনারের (এই মহাকাশযানে চেপেই পৃথিবীতে ফেরার কথা সুনীতা এবং বুচের) বিগড়োনোর মূল কারণ চিহ্নিত করার কাছাকাছি জায়গায় পৌঁছনো গিয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, প্রপেলারের বড় কোনও সমস্যা এবং হিলিয়াম গ্যাসের পর পর লিক হওয়া গোলমালের জন্য দায়ী। ওই বোয়িং স্টারলাইনারে করে সুনীতা ও বুচ পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারবেন না। স্পেস এক্স-এর ক্রু ড্র্যাগনেই সুনীতাদের ফিরে আসার কথা।
[আরও পড়ুন: ৫ বছরে ‘মকুব’ ৯.৯ লক্ষ কোটির অনাদায়ী ঋণ! তবু আশার কথা শোনাল কেন্দ্র]
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০৬ ও ২০১২ সালে মহাকাশ অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন সুনীতা। সব মিলিয়ে ৩২২ দিন মহাকাশে কাটানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। কিন্তু এবারের অভিজ্ঞতা একেবারেই আলাদা। নির্ধারিত সময় পেরনোর পরও আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রয়ে যেতে হয়েছে সুনীতাদের। নাসা জানিয়েছে, সুনীতাদের থাকার ও কাজের জায়গাটি ৬ শয্যাকক্ষবিশিষ্ট বাড়ির সমান। কিন্তু তা শুনতে এমন মনে হলেও মহাকাশের নিরিখে খুব বেশি বিলাসবহুল বা আরামদায়ক বলা যায় না একে। কেননা ওখানে কেবল সুনীতা (Sunita Williams) ও উইলমোরই নেই। রয়েছেন আরও সাত নভশ্চর। তাঁদের মধ্যে চারজন মার্কিন ও তিনজন রুশ। তবে তা বলে তাঁদের খাওয়াদাওয়া কিংবা অক্সিজেনের ভাঁড়ারে টান পড়বে না বলেই জানা যাচ্ছে। তবে এত দীর্ঘ সময় তাঁদের থাকতে হচ্ছে শারীরিক কোনও সমস্যা দেখা দেবে কিনা সেই সংশয় রয়েছে। তবে শেষবার অন্তরীক্ষ থেকে বার্তা দেওয়ার সময় সুনীতা জানিয়েছিলেন, তাঁরা ভালো আছেন। এবং এই আশাতেই রয়েছেন যে দ্রুত বাড়ি ফিরবেন। আপাতত সেই আশা নাসা-সহ অন্য মহাকাশপ্রেমীদেরও। তবে এখনও কয়েক মাস যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভশ্চরকে মহাকাশেই থাকতে হবে তা জানিয়ে দিচ্ছে নাসা।