সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে বিশ্বমিত্রর আশীর্বাদ, অন্যদিকে দেবতাদের 'অভিশাপ'। এমন অবস্থায় স্বর্গ-মর্ত্যের মধ্যবর্তী স্টেশনে আটকা পড়েন ত্রিশঙ্কু। সেটাই কী মহাকাশ স্টেশন! যেখানে গত ৫০ দিন ধরে আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভশ্চর সুনীতা উইলিয়ামসও (Sunita Wiliams)। সঙ্গী নভশ্চর বুচ উইলমোরের গল্পও একই। মহাকাশযানের প্রযুক্তিগত গোলযোগে সুনীতার মতো তিনিও পৃথিবীতে ফিরতে পারছেন না। এই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও অলিম্পিক শুরু হতেই মহাকাশ থেকে একটি ভিডিও মারফত অ্যাথেলিটদের শুভেচ্ছা জানালেন সুনীতা, বুচ-সহ মহাকাশ স্টেশনের অন্য বিজ্ঞানীরা।
২৬ জুলাই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে প্যারিস অলিম্পিকের। আর ছবির শহর, কবিতার শহর থেকে ৪০০ কিমি উঁচুতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ইলেকট্রিনিক অলিম্পিক মশাল হাতে নিয়ে পারফরম্যান্স করলেন সুনীতারা। নাসার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেল, ভরশূন্য মহাকাশে ওয়েট লিফটিং, জিমন্যাসটিক, ডিসকাস থ্রো, সাঁতার... প্রায় সব রকম খেলার ভঙ্গি করলেন সুনীতা এবং মহাকাশ স্টেশনের অন্য বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি এদিন নাসার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে এই মুহূর্তে যে ৯ জন নভশ্চর রয়েছেন, তাঁরা সকলেই ভালো আছেন।
[আরও পড়ুন: মধুচক্রের শিকার! হোটেলের শৌচাগারে তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য হরিণঘাটায়]
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা ও বুচ। শনিবার নাসা-র তরফে দেওয়া সর্বশেষ তথ্যে বলা হয়েছে, বোয়িং স্টারলাইনারের (এই মহাকাশযানে চেপেই পৃথিবীতে ফেরার কথা সুনীতা এবং বুচের) বিগড়োনোর মূল কারণ চিহ্নিত করার কাছাকাছি জায়গায় পৌঁছনো গিয়েছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, প্রপেলারের বড় কোনও সমস্যা এবং হিলিয়াম গ্যাসের পর পর লিক হওয়া গোলমালের জন্য দায়ী। তবে ওই বোয়িং স্টারলাইনারে করে সুনীতা ও বুচ পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারবেন কি না, নাসা-র বক্তব্যে তা এখনও স্পষ্ট নয়। একান্তই তা সম্ভব না হলে বিকল্প হিসেবে স্পেস এক্স-এর ক্রু ড্র্যাগন কিংবা রাশিয়ান সোযুজ় স্পেসক্র্যাফ্ট রয়েছে। কবে, কোন যানে সুনীতার ত্রিশঙ্কু অবস্থা কাটবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।