সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমাদের দেশে তো বটেই গোটা বিশ্বেই ফের মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। বহু দেশই হেঁটেছে লকডাউনের (Lockdown) পথে। তবুও মেলেনি রেহাই। কোথায় দ্বিতীয়, তো কোথাও করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক। টিকাকরণ শুরু হওয়ার পরেও ত্রাসের সঞ্চার ঘটিয়েছে কোভিড-১৯ (COVID-19)। ২০২০ সালে অতিমারী শুরু হওয়ার পর থেকেই নানা কথা শোনা গিয়েছে গবেষকদের মুখে। এবার একদল গবেষক দাবি করলেন, সূর্যের আলো (Sunlight) অর্থাৎ রোদের মধ্যেই হয়তো লুকিয়ে রয়েছে করোনার মারণবীজ! গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ জার্নাল অফ ডার্মাটোলজিতে।
কী করে এমন সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছেন তাঁরা? আসলে ব্রিটেনের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষক দল ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার কাউন্টির কোথায় কতটা অতি বেগুনি রশ্মি থাকে সেটা খতিয়ে দেখেন। আর সেই সঙ্গে ওই সব কাউন্টিতে করোনার প্রকোপ কতটা, সেই পরিসংখ্যানও বিশ্লেষণ করেন তাঁরা। আর সেই গবেষণা থেকেই তাঁদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়, যে সব অঞ্চলে সর্বাধিক ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত অতিবেগুনি রশ্মি পৌঁছয়, সেখানে মৃত্যুহার তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। একই ভাবে যে সব অঞ্চলে অতিবেগুনি রশ্মি ততটা প্রকট নয়, সেখানেই করোনায় মৃতের সংখ্যা বেশি। ইংল্যান্ডের পাশাপাশি ইটালিতেও একই রকম পরীক্ষা চালিয়ে একই ধরনের ফল পেয়েছেন গবেষকরা।
[আরও পড়ুন: ৯৯ বছরে যুবরাজ হয়েই প্রয়াণ, কেন ‘রাজা’ হওয়া হল না প্রিন্স ফিলিপের?]
গবেষকদের দাবি, ভিটামিন ডি নয়, এর পিছনে রয়েছে অতিবেগুনি রশ্মিই। তাঁরা গবেষণা করে দেখেছেন, ত্বকের সঙ্গে বেশি মাত্রায় সূর্যের আলো সংস্পর্শে এলে সেক্ষেত্রে ত্বক থেকে নাইট্রিক অক্সাইড নির্গত হয়। সম্ভবত এর ফলেই কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোখা সম্ভব হয়।
এরই পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছেন, রোদ্দুরে সংস্পর্শে এলে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। যেহেতু মারণ ভাইরাসের আক্রমণে হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই এক্ষেত্রে তা করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারে।