সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৭৫/৯ (ক্লাসেন ৫০, হেড ৩৪, আভেশ খান ২৭/৩)
রাজস্থান রয়্যালস: ১৩৯/৭ (ধ্রুব জুরেল ৫৬, যশস্বী ৪২, শাহবাজ ২৩/৩)
৩৬ রানে জয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুটি দলের ঝুলিতেই একটি করে আইপিএল ট্রফি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (SRH) শেষবার শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা পেয়েছিল ২০১৬ সালে। আর ২০০৮-এর উদ্বোধনী মরশুমের পর আজও ট্রফি অধরা রাজস্থান রয়্যালসের (RR)। ফলে ট্রফির সংখ্যা দ্বিগুণ করতে ফাইনাল ওঠার লড়াইয়ে মরিয়া ছিল দুই দলই। আর সেই যুদ্ধ ৩৬ রানে জিতে নিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ইতিমধ্যেই ফাইনালের টিকিট পেয়ে যাওয়া নাইটরা (KKR) সেখানে অপেক্ষা করছে প্যাট কামিন্সদের জন্য।
চলতি আইপিএলে (IPL 2024) রাজস্থান আর হায়দরাবাদ ধারে-ভারে প্রায় সমানই। ঠিক সময়ে জ্বলে উঠেছে তাদের যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র। ব্যাটিং-বোলিং দুদিকেই যথেষ্ট শক্তিশালী আইপিএলের দুই এবং তিন নম্বর দল। কিন্তু কোয়ালিফায়ারের যুদ্ধে কাজে এল না ধ্রুব জুরেলের একার লড়াই। শাহরাজ-অভিষেকের বোলিং দাপটে বাজিমাত সানরাইজার্সের।
এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। প্রথমে ব্যাট করে হায়দরাবাদের বিধ্বংসী রেকর্ড সামনে রেখেই ঝুঁকি নিয়েছিলেন সঞ্জু। বোলাররাও যথেষ্ট সঙ্গ দিলেন তাঁদের অধিনায়ককে। প্রথম ওভারেই ট্রেন্ট বোল্ট ফিরিয়ে দেন দুরন্ত ফর্মে থাকা অভিষেক শর্মাকে (১২)। সেখান থেকে হায়দরাবাদ ব্যাটিংয়ের হাল ধরেছিলেন হেড (৩৪) আর রাহুল ত্রিপাঠী (৩৭)। ক্রমশ চেনা ছন্দেই ফিরছিলেন অজি তারকা। সেই সময়েই ফের পালটা আঘাত বোল্টের (৪৫/৩)। একই ওভারে তিনি ফেরান ত্রিপাঠী আর মার্করামকে (১)। সন্দীপ শর্মার বলে দ্রুত ফিরে যান হেডও। আভেশ খানদের (২৭/৩) দাপট সামলেও হাফ সেঞ্চুরি করে কিছুটা লড়াই চালান ক্লাসেন (৫০)। যার ফলে হায়দরাবাদ থামে ১৭৫ রানে।
[আরও পড়ুন: ম্যান ইউয়ে সমাপ্ত টেন হ্যাগ ‘যুগ’, হতাশাজনক মরশুমে শেষে বিদায় ডাচ কোচের]
চেন্নাইয়ের মাঠ হিসেবে এই স্কোর একেবারে খারাপ নয়। চলতি মরশুমে এখানে খুব বেশি রান তুলতে পারেনি কোনও দলই। ২০০-র উপর রান উঠেছে হাতে গোনা ম্যাচে। তাছাড়া প্যাট কামিন্স, ভুবনেশ্বর কুমার, নটরাজনের মতো গোলাবারুদে ঠাসা হায়দরাবাদের বোলিং। যার প্রভাব টের পেলেন রাজস্থানের ওপেনার কাডমোর (১০)। স্বদেশীয় জস বাটলার ফিরে যাওয়ার পর তাঁর জুতোয় পা গলাতে সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ ইংরেজ ব্যাটার। তিনি ফিরে যাওয়ার পর বরং যশস্বী জয়সওয়ালের (৪২) ব্যাটে ভর করে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে রাজস্থান। কিন্তু বাংলার অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদের (২৩/৩) স্পিনে ধরা দিলেন যশস্বী। পরের ওভারে অভিষেক শর্মার (২৪/২) বলে ফিরে গেলেন অধিনায়ক সঞ্জুও (১০)। বেঙ্গালুরু ম্যাচের নায়ক হেটমায়ার (৪)-পাওয়েলরা (৬) দ্রুত ফিরে গেলেন। ধ্রুব জুরেলের (৫৬) একার লড়াই কাজে এল না। শেষ পর্যন্ত ৩৬ রানে ম্যাচ জিতে নিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
ফাইনালে তাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে শ্রেয়সের নাইট বাহিনী। প্রথম কোয়ালিফায়ারে প্যাট কামিন্সদের একতরফা লড়াইয়ে হারিয়েছিল কেকেআর। ফাইনালে কি তার বদলার আগুন ছোটাবে হায়দরাবাদ? নাকি ফের শোনা যাবে 'করব, লড়ব, জিতব...' ধ্বনি? তার জন্য ক্রিকেটপ্রেমী তাকিয়ে থাকবেন ২৬-র মে মহাযুদ্ধের দিকে।