shono
Advertisement

বাংলায় ১৭৩৭ সালের বিধ্বংসী ঝড়ের স্মৃতি ফেরাল আমফান 

সে বছরও কলকাতায় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটারের বেশি। The post বাংলায় ১৭৩৭ সালের বিধ্বংসী ঝড়ের স্মৃতি ফেরাল আমফান  appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 10:33 AM May 21, 2020Updated: 10:33 AM May 21, 2020

সন্দীপ চক্রবর্তী: প্রায় পৌনে তিনশো বছর আগে, ১৭৩৭ সালে এমন ঝড় দেখেছিল বাংলা। সেবার হাজার হাজার মানুষ ঝড়ে গাছচাপা পড়েছিলেন, বেশি গিয়েছিলেন নদীর জলে। বুধবার সারাদিন অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে সেই স্মৃতিই ফিরে এল রাজ্যে।

Advertisement

১৯৯৯ সালের পর দেশে প্রথম সুপার সাইক্লোন আর তাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল বাংলা। বুধবার কলকাতায় ঝড়ের গতিবেগ একসময় উঠেছিল ঘন্টায় ১৩৩ কিলোমিটার। যেমনটা হয়েছিল ১৭৩৭ সালে। আর কাকদ্বীপ, বকখালীতে গতিবেগ সর্বোচ্চ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার। তছনছ হয়ে গিয়েছে এই অঞ্চল-সহ দুই ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশ। ক্ষতির খতিয়ান এখনও মেলেনি। মৃত্যুর সঠিক সংখ্যাও জানা নেই।

এদিকে, আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, এত বড় বিপর্যয়ের পরও সক্রিয় নিম্নচাপ। তার জেরে বৃহস্পতিবারও বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদের ঘন্টায় ৮০-৯০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা। আমফানের ধ্বংসাত্মক চেহারা নিয়ে আগাম সতর্কবার্তা ছিলই। আবহাওয়া অফিস ঘণ্টায় ঘণ্টায় বুলেটিন দিয়ে ঝড়ের গতিপ্রকৃতি জানাচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রী নিজে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে ঠায় বসেছিলেন। দিঘা-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের তদারকিতে ছিলেন মন্ত্রী
শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আগেই ৫ লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছিল নিরাপদ আশ্রয়ে। বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ।

[আরও পড়ুন: ২০২০-র ২০ মে, পাশাপাশি তিন বিশে ধ্বংসের সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল তিলোতমা]

দুপুর ২টোর আগে দিঘা, কাঁথি, হলদিয়া, নন্দীগ্রাম থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপ, বকখালি, কাকদ্বীপ-সহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে প্রবল হাওয়া ছিল। আমফান দিঘা ও হাতিয়ার মাঝে আছড়ে পড়বে, এমন আশঙ্কা ছিল। কিন্তু তা আচমকা অভিমুখ বদলে হলদিয়ার কাছে চলে আসে। এরপর সাগরদ্বীপ ছুঁয়ে কলকাতায়। পূর্ব দিক থেকে কলকাতাকে তছনছ করে দেয়। সবমিলিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাস ছিল ৯০ কিলোমিটার মতো। আমফানের হেড অর্থাৎ প্রথমাংশ স্থলভাগ
ছোঁয়ার পর চার ঘণ্টা লেগেছে টেল বা শেষাংশ পেরতে। মাঝের ঘণ্টাখানেক সময় ‘আই’ অংশটি থাকায় ঝড়ের প্রকোপ ততটা বোঝা যায়নি।

সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বুঝতে বৃহস্পতিবার দুপুর গড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আমফান পূর্বতন সমস্ত ঘূর্ণিঝড়ের শক্তিকে হারিয়ে দিয়েছে। ফণী, বুলবুলের চেহারা এত নির্মম ছিল না। আয়লা প্রভাব অবশ্য এরকমই কিছুটা ছিল। তবে এবার আমফনের দাপটে এমন সন্ত্রস্ত, অন্ধকার চেহারার শহর দেখেনি কেউ।

[আরও পড়ুন: আমফান বিদায় নিলেও মুক্তি নেই , উত্তরের জেলাগুলিতে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা]

The post বাংলায় ১৭৩৭ সালের বিধ্বংসী ঝড়ের স্মৃতি ফেরাল আমফান  appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার