সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার বিপক্ষে জনমত বাড়ছে আমেরিকায়। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা এক রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। এই দাবি সত্যি হলে কিয়েভের জন্য তা অশনি সংকেত।
সম্প্রতি রয়টার্স-ইপসোস প্রকাশিত এক রিপোর্ট মোতাবেক, ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করা নিয়ে আমেরিকার প্রধান দুই রাজনৈতিক দলে সমর্থন কমে আসছে। স্বাভাবিকভাবেই কিয়েভের জন্য এটা সতর্কবার্তা। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের সবথেকে বড় অস্ত্র সরবরাহকারীদের মধ্যে অন্যতম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪১ শতাংশ মনে করেন আমেরিকার উচিত ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করা। ৩৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী দ্বিমত পোষণ করেছেন এবং বাকিরা উত্তর দেননি। গত মে মাসের অন্য এক সমীক্ষায় যা ছিল যথাক্রমে ৪৬ ও ২৯ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: গ্রেনেড ফেটেই মৃত্যু হয়েছে প্রিগোজিনের, দুর্ঘটনার তত্ত্ব উড়িয়ে দাবি পুতিনের]
ইউক্রেনের জন্য বাড়তি ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিলের যে অনুরোধ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন করেছেন, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে বিতর্কের মধ্যে দেশজুড়ে অনলাইনে এই সমীক্ষা হয়। ২৪ বিলিয়ন ডলার তহবিলের মধ্যে ১৭ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলেছেন বাইডেন। সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে, কিয়েভকে অস্ত্র জোগানে মত রয়েছে ৫২ শতাংশ ডেমোক্র্যাটের। গত মে মাসে যা ছিল ৬১ শতাংশ। আর রিপাবলিকানদের মধ্যে ইউক্রেনকে (Ukraine) অস্ত্র সরবরাহে মত দিয়েছে মাত্র ৩৫ শতাংশ। গত মে মাসে যা ছিল ৩৯ শতাংশ।
উল্লেখ্য, ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ইউক্রেনকে বেহিসাব সামরিক সহায়তার ফলে আমেরিকার অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে এই সহায়তা নিয়ে আমেরিকার অন্দরেই চরম অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এমনিতেই মুদ্রাস্ফীতিতে জেরবার বাইডেনের দেশ। এমতবস্থায় ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে (Ukraine-Russia War) অতিরিক্ত অর্থসাহায্য বন্ধের পক্ষেই সওয়াল করছেন সে দেশের বহু জনপ্রতিনিধি।