সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২০ সালে একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নির্দেশ দিয়েছিল, প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের ওয়েবসাইটে ও সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেদের প্রার্থীদের ফৌজদারি মামলা (Criminal Cases) সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য প্রকাশ করবে। নির্বাচন কমিশনেও জমা দিতে হবে এই সম্পর্কিত নথি। যদিও এমন একাধিক উদ্যোগের পরেও রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন রোখ যায়নি। অধিকাংশে রাজ্যে বিধায়ক ও সাংসদদের একাংশের বিরুদ্ধে রয়েছে খুন, ধর্ষণ, অপহরণের মতো ফৌজদারী মামলা। তাঁরা কী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার যোগ্য? এমন ব্যক্তির জনপ্রতিনিধি হওয়া উচিত? শনিবার এই বিষয়ে কেন্দ্র এবং জাতীয় নির্বাচনের কমিশনের মতামত জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট।
যে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বড় অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচনে লড়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি হোক তাঁদের বিরুদ্ধে। এই দাবিতে দেশের শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। সেই সূত্রেই কেন্দ্র এবং জাতীয় নির্বাচনের কমিশনের মতামত জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। এই বিষয়ে বিচারপতি কে এম জোশেফ এবং বি ভি নাগারত্নার বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “জাতি হিসেবে টিকে থাকতে হলে চরিত্র ও মূল্যবোধ থাকতে হবে আমাদের। দুর্নীতির ভয়াবহতার দিকে তাকিয়ে দেখুন। পশ্চিমের দেশগুলোতে এমনটা দেখা যায় না। এখানে তৃণমূল পর্যায়ে দুর্নীতি রয়েছে। এটাই আসল সমস্যা।”
[আরও পড়ুন: ‘আমি জাতীয়তাবাদী, সেনাকে অপমান করিনি’, ‘বৃহন্নলাদের সেনা’ মন্তব্যে সাফাই বিহারের মন্ত্রীর]
মামলাকরী আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, “দুর্নীতি তথা অপরাধের অভিযোগে সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়। যে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নামে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?” তিনি কটাক্ষ করেন, “অপারধের অতীত থাকলে পিয়নের চাকরিও মেলে না, অথচ সেই ব্যক্তি সংসদের সদস্য হতে পারেন, এমনকী আইনমন্ত্রীও হতে পারেন!”
[আরও পড়ুন: নেতা, কর্মীদের মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা? কংগ্রেসের প্লেনারিতে আসতে চলেছে এমনই প্রস্তাব]
বিচারপতি কে এম জোশেফ এবং বি ভি নাগারত্নার বেঞ্চ কেন্দ্র এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে জানাতে হবে, অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির নির্বাচনে লড়ার বিষয়ে তাদের মতামত। মামলার আগামী শুনানি এপ্রিল মাসে।