কৃষ্ণকুমার দাস: সাতদিনের মধ্যে কলকাতা পুরসভার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে হবে। কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, আদালতের তরফে রাজ্যকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না করলে, আদালত থেকেই প্রশাসক বসিয়ে দেওয়া হবে। এরপরই সাতদিনের সময় চেয়ে নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শীঘ্রই এনিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসবে তারা।
[আরও পড়ুন: কৃষকদের দাবিকে সমর্থন জানিয়েও ভারত বন্ধে রাজ্যে জনজীবন স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ মমতার]
উল্লেখ্য, গত ৮ জুন মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কলকাতা পুরসভায় ভোট না করিয়ে ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে প্রশাসকমণ্ডলী বসানোর বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্ট (Kolkata High Court) ও সুপ্রিম কোর্টে আগেই মামলা হয়। গত আগস্টে হাই কোর্টে ফিরহাদের নেতৃত্বাধীন প্রশাসক বোর্ড বাতিল করার আবেদন জানান শরদকুমার সিং। পুরমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রশাসকমণ্ডলীকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেও কোভিড (Covid-19) পরিস্থিতি কমলেই দ্রুত পুরনির্বাচন করতে বলে হাই কোর্ট। কিন্তু হাই কোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে ফের সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন শরদ সিং। আবেদন করেন, হাই কোর্টের রায় খারিজ করে আদালত নিযুক্ত কমিটির অধীনে পুরভোট করা হোক। সেই আপিলের শুনানিতে ফের ফিরহাদের প্রশাসক বোর্ডকেই মান্যতা দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। তবে এবার কলকাতা পুরসভা ভোট নিয়ে জট কাটাতে চাইছে সুপ্রিম কোর্ট।
কিন্তু অতিমারী আবহেও কেন ভোটের দিনক্ষণ দ্রুত ঘোষণার নির্দেশ দেওয়া হল? জানা গিয়েছে, শীর্ষ আদালত ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতেই বিহার, অসম, হায়দরাবাদে নির্বাচন সুষ্টুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তাই কলকাতা পুরসভার ভোট না করার কোনও কারণ নেই। দিনক্ষণ যেদিনই ঠিক হোক না কেন, তা সাতদিনের মধ্যে জানাতেই হবে। এ প্রসঙ্গে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “সু্প্রিম কোর্টের নির্দেশের কাগজপত্র হাতে পাই। তারপর এ নিয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
[আরও পড়ুন: আমন্ত্রিতদের ডেকে দরিদ্র পরিবারের সন্তানের বিয়ের আয়োজন, সালমার জীবনে রূপকথা ‘রূপশ্রী’ প্রকল্প]
অর্থাৎ পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই কলকাতা পুরসভার নির্বাচন হয়ে যাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ১৭ ডিসেম্বর।