সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল এবং পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার। তাঁদেরকে সিবিআই জেরার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রক্ষাকবচের আবেদন জানিয়ে দ্বারস্থ হন তাঁরা। কিন্তু মিলল না ‘সুপ্রিম কবচ’।
OMR শিট কারচুপি মামলায় গৌতম পালের কী ভূমিকা ছিল? তিনি কি আদৌ এবিষয়ে কিছু জানেন নাকি সবটাই হয়েছিল মানিক ভট্টাচার্যের অঙ্গুলিহেলনে? তা জানতে গত ১৮ অক্টোবর গৌতম পাল এবং পার্থ কর্মকারকে সিবিআই জেরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জেরার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি। তার প্রেক্ষিতেই গত ১৯ অক্টোবর টানা ৫ ঘণ্টা গৌতম পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। কিন্তু হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পর্ষদ সভাপতি।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ফের জেহাদিদের নিশানায় পরিযায়ী শ্রমিক, এবার খুন উত্তরপ্রদেশের যুবক]
সেই মামলার শুনানিতে পর্ষদের আইনজীবীর প্রশ্ন, সুপ্রিম কোর্টে যখন মামলা বিচারাধীন, তখন হাই কোর্টের বিচারপতির এহেন নির্দেশ কতটা যুক্তিযুক্ত? হাই কোর্টের এহেন নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টকে ‘ওভার রিচ’ করার প্রচেষ্টা হিসেবে ব্যাখ্যা আইনজীবীর।
হাই কোর্টের এহেন নির্দেশ এবং সিবিআই যাতে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে না পারে, তার জন্য রক্ষাকবচের আবেদন করেছিলেন গৌতম পাল। কিন্তু বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বেলা এম ত্রিবেদীর এজলাসে সিবিআই তদন্তের উপর পর্ষদ সভাপতি এবং ডেপুটি সেক্রেটারিকে রক্ষাকবচ দিল না শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, যদি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করা হয়, তাহলে গ্রেপ্তারির আশঙ্কা কেন করা হচ্ছে? সেই সঙ্গে এও বলা হয়েছে, যদি প্রয়োজন হয় আগামী শুক্রবার শুনানির পর রক্ষাকবচ দেওয়া হবে।